লকডাউনের মধ্যেই ঈদ

আগামী ১৩ কিংবা ১৪ মে বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর ১৬ মে পর্যন্ত চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরমাঝে বৃহস্পতিবার থেকে গণ পরিবহন চলবে। তবে দূরপাল্লার কোনো পরিবহণ বা আন্ত জেলার কোনো যানবাহন চলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

লকডাউন বা বিধি-নিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, ৬ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকে মার্কেটে পুলিশের অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেবো।’

এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঈদকে সামনে রেখে জনস্বার্থ বিবেচনায় আগামী ৬ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।

তিনি জানান, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, এবং কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না বলেও জানান মন্ত্রী।

সোমবার সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব মন্তব্য করেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।

করোনা কখন কমে আবার কখন বাড়ে – তা বলা যায় না, তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নিতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব ও শতভাগ মাস্ক পরিধান করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ অর্থ সাহায্যের প্রস্তাবে এবারের ঈদে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা- উপজেলায় অর্থ সাহায্য পৌঁছে গেছে।

যারা এই অর্থ বিতরণের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গতবারও অনেক অভিযোগ এসেছিল এবং অনেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে। এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে এবার এ ধরনের অপকর্ম এবং অর্থ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে। গরীব মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে কোনো অনিয়ম করলে কঠোর শাস্তি অনিবার্য।