পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন: তৃণমূলের লিড ১৯৪, বিজেপির ৯২ আসনে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাটট্রিক করবেন নাকি প্রথমবার বাংলায় ফুটবে পদ্ম? দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা শেষে আজ রবিবার (২ মে) সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। সর্বশেষ জানা গেছে, বিজেপির চেয়ে তৃণমূল ১৯৪ আসনে এগিয়ে আছে।

স্থানীয় সময় সকাল ১২টা পর্যন্ত প্রথম রাউন্ড ভোট গণনায় আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৪ আসনে এগিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি ৯৫ আসনে। এবিপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি ৯৩, বাম-কংগ্রেস জোট ১ আসনে, অন্যান্য দল ২ আসনে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৮৮ আসনে তৃণমূল এগিয়ে, ১০২ আসনে বিজেপি, বাম-কংগ্রেস জোট ১ আসনে। অন্যান্য ২ আসনে। জিনিউজ বাংলার প্রতিবেদনে দেখা যায়, তৃণমূল ১৯৪ এবং বিজেপি ৮১ আসনে এগিয়ে। বাম-কংগ্রেস জোট ১ আসনে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, আক্রমণাত্মক প্রচার, পালটা আক্রমণ, রাজনৈতিক তরজার মধ্যে ৩৩ দিন ধরে যে ভোটপর্ব চলেছে, তারপর কোন দল বাংলার মসনদে উঠবে, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে আজ। অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষায় তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্লা কিছুটা ভারী থাকলেও লড়াই একেবারে হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার আভাস দেওয়া হয়েছে। তবে সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মানতে নারাজ তৃণমূল এবং বিজেপি।

ঘাসফুল এবং পদ্মফুল দুই শিবিরেরই বক্তব্য, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠতে চলেছে তাদের দল। তবে কত আসন মিলতে পারে, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দু’পক্ষই। তারইমধ্যে আশাবাদী বাম, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সংযুক্ত মোর্চা। বুথফেরত সমীক্ষায় ভরাডুবির আভাস দেওয়া হলেও সংযুক্ত মোর্চার বিশ্বাস, তৃণমূল এবং বিজেপির বিকল্প হিসেবে ‘ধর্মনিরপেক্ষ জোটকেই’ বেছে নিয়েছেন মানুষ। সংযুক্ত মোর্চার সেই আশাপূরণ হবে কিনা, তা আর কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

এমনিতে ২৯২ টি আসনে আট দফায় হয়েছে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। গত ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল ভোট প্রক্রিয়া। যা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে।

সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়ায় সেই দুই আসনে নির্দিষ্ট দিনে ভোট হয়নি। আগামী ১৬ মে সেখানে ভোট হবে। ফলপ্রকাশ হবে আগামী ১৯ মে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে ২৯৪ আসন-বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। রবিবারই কোনও দল এককভাবে সেই গণ্ডি পার করতে পারে কিনা, সেদিকেই নজর আছে রাজনৈতিক মহলের।