জোয়ারে শিবসার উপচে পড়া পানিতে পাইকগাছা পৌরসদর প্লাবিত

শিবসা নদীতে প্রবল জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে তলিয়ে গেছে পাইকগাছা পৌরসদরের নিস্নাঞ্চল। প্রতিদিন দু’বারের জোয়ারে ঠেলে দেওয়া লবণ ও নোংরা পানিতে সদরের পৌর বাজারসহ নিম্নাঞ্চলগুলি তলিয়ে যাচ্ছে। এতে দোকানিসহ ক্রেতা সাধারনের ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুনে। অপেক্ষাকৃত নীচু দোকানগুলিতে লবণ পানি ঢুকে আটকা পড়ছে, নানা প্রয়োজনে উপজেলা ও পৌরসদরে আগত পথচারীরাও নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়ছেন। প্রতিবছর শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুম এলেই এমন অবস্থায় কার্যত কারো মাথা ব্যথা নেই। অবস্থার উত্তরনে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিন পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাইকগাছা পৌরসদরের পয়নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো বাজারের মধ্য দিয়ে মিশেছে শিবসা নদীর সাথে। নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় চলতি মৌসুমে শিবসায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে তা পৌরসভার পয়:নিষ্কাশনের ড্রেনগুলি দিয়েই ঢুকে পড়ছে সদর অভ্যন্তরে।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, জোয়ারের সময় ড্রেনগুলোতে সারা বছর আটকে থাকা নোংরা-আবর্জনাসহ লবন পানি ঢুকে পড়ছে অভ্যন্তরে। আবার ভাটায় তার সিংহভাগ পানি নেমে গেলেও অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জমে থাকছে দুষিত পানির একটা অংশ। যেখানে মশা-মাছির জন্ম বিস্তার ও চর্ম রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

এছাড়া ড্রেনে আটকে থাকা দীর্ঘ দিনের নোংরা-আবর্জনা মিশ্রিত পানি সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ায় নদীর পানিও দূষিত হচ্ছে সমান তালে।
বিশেষ করে বাজারের স্বর্ণ পট্টি, কাঁচা বজার, মুরগী বাজার, খুচরা মাছ বাজার, কাঁকড়া ডিপো মার্কেট, কর্মকার পট্টি, মাংস বাজার, সার্জিক্যাল ক্লিনিকের নীচতলা, থানা প্রধান সড়ক, ইলেকট্রনিকস মেরামত পট্টিসহ বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের ঠেলে দেওয়া পানিতে নিয়মিত দু’বার করে তলিয়ে যাচ্ছে।

এপ্রসঙ্গে স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা পৌরসভাকে নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে ব্যবসা করলেও তাদের স্বার্থ সু-রক্ষায় পৌর কতৃপক্ষ এগিয়ে আসছেনা।

এব্যাপারে পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর এর প্রতিক্রিয়া জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। জোয়ারে পৌর অভ্যন্তরে লবন পানির অনুপ্রবেশ বন্ধে স্থানীয়রা এমপি, পৌর মেয়র থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এপ্রিল ৩০, ২০২১ at ১৫:৫১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএনএস/এমআরএইস