চলন বিলে যখন নৌকা ভাড়া ! ধান মরে তখন লাগে খরা ,

____________________________________________
আমাদের সময় এসেছে দশ বছর কে সামনে আনার!সাদা জব্বার দের আবেদনে অনুমোদন দেওয়ার!১০%কে অব্যাহতি দেওয়ার!আর সরল বিশ্বাস কে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ধরে রাখার।

আরও দেরি করলে আরও ১৬০০করে হারিয়ে যাবে সাদা জব্বার গন এভাবেই জীবনের প্রয়োজনে ,জীবিকার তাগিদে নৌকা ভাড়া ধরে দেবে তবে তা যাবে বাবু বকসীদের পকেটেই!
_____________________________________________

চলন বিল।সিরাজগঞ্জ এর তাড়াশ থানার একটা গ্রাম।সেখান থেকে তাড়াশ আসতে নৌকা ভাড়া জনপ্রতি ৩০/টাকা।মসজিদ কমিটির চারজন ওয়াকফ অফিসে যাতায়াত করে।মসজিদের ক্যাশ থেকে খরচ যায়।বাৎসরিক মসজিদ কমিটির সভাতে উক্ত খরচ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আষাঢ় শ্রাবন, বড় জোর ভাদ্র আশ্বিন মাসে চলন বিলে পানি থাকে ।সেই চলন বিল এখন কি আর আছে।ঋতুর ই বা কাল ঠিক থাকে?কখন বর্ষা, কখন খরা, কখন নৌকা চলে ,কখন ভ্যান রিক্সা, অটো চলে তা তো মুরব্বী বাবু বকসীর (কাল্পনিক নাম)জানার কথা নয়।

তো মুল কথা হল মসজিদ কমিটির মিটিং এ ১৬০০/টাকা নৌকা ভাড়ার অনুমোদন দিলেন।আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৬০০/টাকার কদর ছিল বৈকি।তখন ধান ছিল প্রায়50/টাকা মন ।অনুমোদন দিয়ে বেচারা সভাপতি কতই আর পেয়েছে।কথা ছিল ১০%মানে ১৬০টাকা।কিন্ত সেক্রটারী গোবেচারা বিনা কন্ট্রাক এ অনুমোদন দিল ।তার ভাবনা নৌকা ভাড়া চার জনের ১৬০০/লাগতে ই পাড়ে।তবুও জমি জমা মসজিদের পক্ষে থাক।

কিন্ত গন দরবারে বাদ সাদল ঐ গ্রামের ভাঙ্গা স্কুল হতে এস এস সি তে প্রথম বিভাগ পাওয়া ছাত্র সাদা জব্বার (কাল্পনিক নাম)চেহারা সাদা, মনও সাদা ,মেধা একে বারে এ গ্রেড।

সে কমিটির চার জন কে খরচের ভাউচর দেখাতে বললেন। তো সাধারণ লোক তো আবেদন ছাড়া ভাউচর দেখতে পারে না।দশ টাকা ফি দিয়ে করল আবেদন। কিন্ত বিল তো পাশ !এবং অর্থ ছাড়!

যাক অবশেষে দশ বছর পর ভাউচর দেখার অনুমতি হল। দেখা গেল নৌকার ভাড়ার সময় ও তারিখ ফাল্গুন, চৈত্র, ।ঐ সময় চলন বিলে নৌকা চলাচল তো দুরে থাক খরার তাপে বিলের ধানও মরে যায়।
সভাপতি এবার বলে আগে জানলে তো %বেশী পাওয়া যেত ।আর সেক্রেটারী বলে এ তো মহা চুরি, মহা জালিয়াতি।আগে বলবা তো ,কি লেখা পড়া শিখেছে?

এতদিনে তারা চার জন প্রতি বছর ১৬০০টাকা করে লুট করে শিল্পপতি,প্রতিষ্ঠিত।আর ক্যাশ বিহীন, জমি বিহীন মসজিদের সভাপতি কেউ নেই।

হিসাব দেখার সেই ছাত্র প্রয়োজনের তাগিদে ঐ শিল্প পতিদের একাউন্ট অফিসার ।চাকরি করে নিজের জীবন চালায়।আর নৌকা ভাড়ার তারিখ দেখে।তার মালিক কে হারে হারে নৌকা ভাড়া ধরে দেয়।

কিন্ত সেদিন পারেনি।আজ যেটা পারছে সেটা ঐ নৌকা ভাড়া চোরদের অর্থ সঞ্চয় করে দিতে।সেদিন পারেনি ১৬০০টাকা সঞ্চয় করতে।হিসাব দেখার অনুমতি আর তা পেতে দশ বছর আর ১০% এর কারনে!!!

আমাদের সময় এসেছে দশ বছর কে সামনে আনার!সাদা জব্বার দের আবেদনে অনুমোদন দেওয়ার!১০%কে অব্যাহতি দেওয়ার!আর সরল বিশ্বাস কে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ধরে রাখার।

আরও সময় এসেছে কোনটা চলন বিল,কোনটা হাওড়,কোনটা সমতল।কখন কোন ঋতু?কখন নৌকা চলে ,কখন রিকশা চলে?কারা কোন কমিটির যোগ্য?কাদের ভাউচর কখন কাদের দেখতে অনুমোদন দেওয়া দরকার।
আরও দেরি করলে আরও ১৬০০করে হারিয়ে যাবে সাদা জব্বার গন এভাবেই জীবনের প্রয়োজনে ,জীবিকার তাগিদে নৌকা ভাড়া ধরে দেবে তবে তা যাবে বাবু বকসীদের পকেটেই!