শিবগঞ্জে চান্দার বাকসন এমএসএম দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগকে প্রশ্নবৃদ্ধ করতে কুচক্রী মহলের অপপ্রচার

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের চান্দার বাকসন এমএসএম দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে গত ১৮ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে পত্রিকায় প্রথম ও ২০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে পত্রিকায় ২য় বারের মতো নিয়োগ বিজ্ঞতি প্রকাশ করা হলেও সুপার আমিন উল্লাহ’র গরিমশি ও অসহযোগীতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তিতে ২৭ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ৩য় নিয়োগ বিজ্ঞতি প্রকাশের পর সুপারের ইচ্ছায় তাকে বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের অধিনে ৩য় নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। ৩য় নিয়োগ পরীক্ষায় আয়া পদে চারজন এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে ৬জন অংশ গ্রহণ করে।

সরকারী নিয়োগ বিধি মোতাবেক আয়া পদে সালমা খাতুন এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে শহিদুল ইসলামকে নিয়োগ প্রদান করে নিয়োগ বোর্ড। এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবৃন্ধ করার জন্য একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা মাদ্রাসার সুপার আমিন উল্লাহ’র যোগসাজ্জসে এমন ঘটনা ঘটছে।

এবিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সঠিক নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও সুপারের পছন্দসই প্রার্থী নিয়োগ না পওয়ায় বিভিন্ন মহলের সহয়োগীতায় মাদ্রাসার সুনামক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন তিনি।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার বেলাল হোসেন বলেন, পূর্বে ২বার নিয়োগ প্রক্রিয়ার চেষ্টা করা হলেও সুপারের অসহযোগীতার কারণে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, আমিতো নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যেই নাই। তাই এই নিয়োগ সংক্রান্ত আমার কোন মতামত ও অভিযোগ নেই। তিনি আরও বলেন কে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবৃন্ধ করার চেষ্টা করছে তা আমার জানা নেই। এব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খান বলেন, আমার জানামতে বৈধভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

এপ্রিল ০৭, ২০২১ at ২০:২২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আরআইআর/এমআরএইস