চৌগাছায় প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকলেও লকডাউনের প্রভাব পড়েনি

যশোরের চৌগাছায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিন প্রথম দিনের মতই ঢিলেঢালা ভাবে পার হয়েছে। প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকলেও ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। অনেক সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করলেও পুলিশ সরে যাওয়ার সাথে সাথে তারা আবার দোকান খোলে। এ ভাবেই চলতে থাকে দ্বিতীয় দিনের লকডাউন। পুলিশ বলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেটের দায়ে তাদেরকে দোকান খুলতে হচ্ছে। গতবার লকডাউনে তাদের অপুরোনীয় ক্ষতি হয়েছে। এ বছর রোজার আগে এভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে না খাওয়ার জন্য মরতে হবে।

সরকার ১৮ দফা বাস্তবায়নে যে লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে সকলের জন্যই ভাল বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তবে লকডাউন ঘোষনার পরপরই ঢাকা থেকে যে ভাবে মানুষ নিজের গ্রামের বাড়িতে এসেছে তাতে করে সকলেই চিন্তিত। কেননা এখনও পর্যন্ত মহামারি করোনা ভাইরাসে ঢাকায় বসবাসকারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ঢাকার লোকজন যারা বাড়িতে এসেছে তারা যে করোনায় আক্রান্ত না এ নিশ্চিয়তা কে দিবে। তাই উপজেলাবাসি ঢাকা ফেরত মানুষজনকে নিয়ে শংকায় আছেন।

এদিকে মঙ্গলবারও চৌগাছার প্রতিটি সড়ক ছিল ছোট খাটো যান বাহনের দখলে আর উপজেলা সদর ছিল সাধারণ মানুষের দখলে এমনটিই মনে করছেন অনেকে। এ সব যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষন দেখা যায়নি। অফিসগামি মানুষসহ নানা প্রয়োজনে বাইরে আসা মানুষ ঠাসাঠাসি করে এ সকল যানবাহনে চেপে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

আবার বিনা প্রয়োজনেও মানুষজন বাজারে এসেছেন, তাদের অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। মহামারি করোনা ভাইরাসের এই সময়ে একটু অসতর্কতা মানুষের জন্য যে কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে তা অনেকেই এখনও উপলব্ধি করতে পারেনি, তাই প্রয়োজনের তাগিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে সকলকে বাইরে আসার অনুরোধ উপজেলার সচেতন মহলের।

এপ্রিল ০৬, ২০২১ at ১৯:০৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএমআই/এমআরএইস