লকডাউন না মানায় ১১ ব্যবসায়ীকে জরিমানা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

লকডাউন না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ১১ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার সোমবার (৫ এপ্রিল) লকডাউনের প্রথম দিনে বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান। অভিযানকালে এসব ব্যবসায়ীকে লকডাউন না মানায় ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন এখানকার একটি বাজারের ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, সোমবার লকডাউন চলাকালে দৌলতপুর থানা বাজার, রিফায়েতপুর বাজার, আল্লারদর্গা বাজার, কল্যাণপুর বাজার, থানামোড়, তারাগুনিয়া বাজার ও হোসেনাবাদ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিনভর অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় লকডাউনের নিয়ম ভেঙে দোকানপাট খোলা রাখা ও করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে ১১ ব্যবসায়ীকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করার প্রতিবাদে উপজেলার হোসেনাবাদ বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেন। তারা দুপুরের দিকে প্রাগপুর-কুষ্টিয়া সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যান।

দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন জানান, লকডাউন অমান্য করার দায়ে হোসেনাবাদ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। মানুষজনকে লকডাউন মানাতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার জানান, লকডাউনের প্রথম দিনে আইন ভঙ্গ করার দায়ে ১১ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে চলতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আইন ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।