চৌগাছায় স্মরণকালের যানযট সব ধরনের দোকনের সামনে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

বাৎসরিক কোন উৎসব না, তারপরও সকাল থেকেই মানুষের উপচে পড়া ভিড় সর্বত্র। সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা যানযট, মুদি দোকানসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ক্রেতার লম্বা লাইন। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন তোয়াক্কা নেই কারও মাঝে, সকলেই যেন এক ধরনের প্রতিযোগীতায় নেমেছে। সোমবার থেকে ৭ দিনের লকডাউনের খবরে এই অবস্থা বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

রবিবার সকাল থেকেই চৌগাছা বাজারে মানুষের ঢল নামতে থাকে। সব ধরনের মানুষের সরব উপস্থিতিতে সড়ক দোকানপাট সব জায়গায় মানুষ আর মানুষ। চৌগাছা স্বাধীনতা ভাস্কার্য মোড়ে সকাল থেকেই লেগে যাই যানযট যা প্রায় সারা দিনই অব্যহত থাকে। মুদি দোকানসহ প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে লম্বা লাইন দিয়ে ক্রেতাদের মালামাল ক্রয় করতে দেখা গেছে। এ সময় কিছু কিছু ব্যক্তি মাস্ক ব্যবহার করলেও অধিকাংশ মানুষই ছিল উদাসিন, মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।

জানা গেছে, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার সোমবার হতে ৭ দিনের জন্য দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছেন। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শহর ও শহরতলীর মানুষ কেনাকাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রবিবার সকাল হতে না হতেই ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ বাজারে ঢুকতে থাকে। মানুষ ও যানবাহনের এতটাই চাপ বেড়ে যাই যে, সকাল ৯ টা থেকে ভাস্কার্য মোড়ে শুরু হয় যানযট।

বাজার করতে আসা আব্দুল গনি, মোশারফ হোসেন, সেলিম রেজা, ময়না খাতুন, বিলকিস বেগমসহ অনেকে জানান, সোমবার হতে ৭ দিনের লকডাউন, এরপর রোজা, বাজার পরিস্থিতি কেমন হয় তাই কেনাকাটা করতে এসেছি। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেকেই চাহিদার তুলনায় কয়েক গুন পন্য সদয় করে বাড়িতে ফিরেছেন। মানুষের সরব উপস্থিতি আর কেনা কাটার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি করেছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।

মুদি ব্যবসায়ী স্বপন কুমার বলেন, ঈদ কিংবা পুজাতেও এ ধরনের বেচা কেনা দেখা যায়নি। মানুষ কেনা কাটায় ব্যস্ত। সময় মত পন্য দিতে না পারার কারনে অনেক ক্রেতা সদয় না নিয়ে ফিরে গেছেন। সবজি ব্যবসায়ী মোঃ ডাবলু মিয়া বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেচা বিক্রি এতটাই বেড়ে যাই যে দুপুরের মধ্য সব বিক্রি শেষ। পোষাক বিক্রেতা হচেন আলী জানান, গতকাল অন্যান্য মালামালের সাথে পোষাকও বেশ বিক্রি হয়েছে। প্রসাধনী ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন জানান, সকাল থেকেই বেচাকেনা ভাল, বলাচলে ঈদের মত বেচাকেনা হয়েছে।

এদিকে লকডাউন ঘোষনায় নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই বলছেন আমরা দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। লকডাউনে আয় না করতে পারলে কি ভাবে স্ত্রী সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিব।

এপ্রিল ০৪, ২০২১ at ২০:৪৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/এমআরএইস