লকডাউন নয় ও সাধারণ ছুটি নয়, চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ

করোনাভাইরাস রোধে লকডাউন নয় ও সাধারণ ছুটি নয়, চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রবিবার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এসময়ে পণ্যবাহী পরিবহন সচল থাকবে। শপিংমল খোলা থাকবে, তবে পাইকারি পর্যায়ে। খাবারের দোকান খোলা থাকবে, তবে হোটেলে বসে খাওয়া যাবে না। অফিস খোলা থাকবে, তবে সীমিত কর্মী দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাঁচাবাজার খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

প্রজ্ঞাপনটি তুলে ধরা হলো-

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীন) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহণ, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পেরিষেবা যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সাভির্স, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর, ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভুত থাকবে।

৩. সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মান কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অফিসে আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃক শিল্প-কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা, সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল রেস্তোরায় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাতে বসে খাওয়া যাবে না।

এপ্রিল ০৪, ২০২১ at ১৪:০৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভিকে/এমআরএইস