চাকুরীর নামে প্রতারণা, চাকুরী প্রার্থীর লাশ উদ্ধার

নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার এলাকার একটি ব্রীজের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের পকেটে থাকা মোবাইল ও সীমকার্ডের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় বের হয়। অজ্ঞাত লাশটি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে সাগর ইসলাম (২৫)।

২৫ মার্চ অজ্ঞাত এই লাশটি উদ্ধার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। লাশের পরিচয় জানতে পেরে পাঁচবিবি থানা পুলিশকে অবগত করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। পুলিশের মাধ্যমো ছেলের মৃত্যুর কথা শুনে শুক্রবার লাশ আনতে যায় নিহতের পরিবার।

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, লাশের পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচবিবি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে ও এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি ইউডি মামলাও করেছে।

নিহত সাগরের বাবা রশিদ বলেন, উচনা গ্রামের মৃত মজিবরের ছেলে আব্দুর রউফের মাধ্যমে উপজেলার বৃদ্ধিগ্রামের আঃ আলিম ও হরন্দা গ্রামের গোলাম রব্বানী মাষ্টারের সাথে পরিচয় করে দেয়। আলিম ও রব্বানী আমাকে বলেন, ৬ লক্ষ টাকা দিতে পারলে আপনার ছেলে সাগরকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণলায়ের কম্পিউটার অপারেটর পদে চারুরী দেওয়া হবে।

টাকা জোগাড়ের জন্য কয়েক দিন সময় নিয়ে পরে জায়গা-জমি, গরু-ছাগল ও আগের জমানো সব মিলে ৫ লক্ষ টাকা আলিম ও রব্বানীর হাতে দেই। জয়পুরহাটের রবির মাধ্যমে অফিসারকে টাকাগুলো দিবে বলেও জানায় তারা। এরপর দালাল আলিম ফোনে আমার ছেলেকে নিয়ে বাঁকি ১ লক্ষ টাকা সহ ঢাকাতে (২৪ মার্চ) চাকুরীতে যোগদান করতে যেতে বলেন।

তাদের কথামত ঢাকার কালশীতে কর্ণেল মাসুদের অফিসে যাই এবং আমার নিকট থেকে বাঁকি টাকা নিয়ে বলে আপনি বাড়ি চলে যান ছেলের চাকুরী হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরে ছেলের ফোনে যোগাযোগ করতে গেলে ফোন বন্ধ পাই। আলিমকে বিষয়টি জানালে সে বলে, আপনার ছেলে ট্রেনিংয়ে আছে এজন্য ফোন বন্ধ আছে। দুদিন পরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে দালাল আলিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।