জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের পুকুরে বিলীন হচ্ছে রাস্তা

জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রায় ২০০ মিটার ইট সলিং রাস্তা, গাইড ওয়ালের অভাবে জেলা পরিষদের পুকুরে বিলীন হতে বসেছে। একই সাথে সরকারি ৪০-৪৫ হাজার টাকার ৪-৫ টি আম ও রেইনট্রি গাছ উপড়ে পরার উপক্রম হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ছিলিমপুর-শালুকগাড়ী রাস্তাটি নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পেশার শতশত লোক যাতায়াত করে। রাস্তাটির দু’পাশের ৭টি গ্রামে রয়েছে- ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১২টি পোল্ট্রি ফার্ম, ৪০টি গরুর খামার, মাছ চাষের উপযোগী ১-১০ একর আয়তনের অন্তত ৫০টি পুকুর, ধান-চাল ও আলু বেচা- কেনার ৫টি আড়ৎ। ফলে, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে মালাবালবাহী নানা ভারি গাড়ি চলাচল করে।এছাড়াও চলাচল করে ভ্যান, ভটটটি, সিএসজি, ব্যাটারী চালিত ইজিপাওয়ার, সাইকেল, মোটরসাইকেল ইত্যাদি যানবাহন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের ছিলিমপুর-শালুকগাড়ী ফিডার রোডের দাখিল মাদ্রাসার পূর্ব পাশের দেয়াল ঘেঁষে ওই ফিডার রোডের শুরুতেই জেলা পরিষদের ৪ একর আয়তনের পুকুরের মধ্যে ভেঙ্গে গেছে। পুকুরের পাড়ে গাইড ওয়াল না দেয়া গেলে, আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই পুরো রাস্তা পুকুরের মধ্যে ধসে যাবে উপজেলার ভাউজা-পাথার গ্রামের মাছ চাষী ও গরুর খামারি তসলিম উদ্দিন জানান, বার বার অনুরোধ করা সত্বেও স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাস্তাটি সংস্কার বা পুকুর পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মাণের ব্যাপারে কোন ভূমিকা রাখেনি।

এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বক্তব্য দিতে অসম্মতি জানান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক জানান, জেলা পরিষদের পুকুরটির কারণেই রাস্তাটির বেহাল দশা হয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সম্প্রতি সরেজমিনে বিষয়টি দেখানো হয়েছে। তিনি গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দিতে চেয়েছেন।

জেলা পরিষদের মাত্রাই এলাকার সদস্য আব্দুল কাদের জানান, পুকুরটির জন্য রাস্তা এবং গাছগুলো ঝুঁকির মুখে পরেছে। কী করলে, এ সমস্যার টেকসই সমাধান হবে; জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সে বিষয়ে তার পরামর্শ চেয়েছেন ।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। উদ্ভূত সমস্যা সমানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের সদস্যকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।