টাইগারদের ১৭০ রানের টার্গেট বেধে দিল নিউজিল্যান্ড

নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজ বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন টাইগার বোলাররা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ১৭.৫ ওভারে ৫উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে তা আর থামে নি। ফলে ওভার কমিয়ে দেওয়া হয়। এখন ১৬ ওভারে বাংলাদেশ দলকে করতে হবে ১৭০ রান।

তাই ব্যাট হাতে লড়াই করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৩০ রান। ক্রিসে আছেন মোহাম্মদ নাঈম ১৬ ও সৌম্য সরকার ৭ রান নিয়ে।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আজ অধিনায়ক যে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বল হাতে তাসকিন, সাইফউদ্দিন ও মেহেদীরা প্রমাণ করেন।

ম্যাচের চতুর্থ ওভারে বল করতে আসা তাসকিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে স্বাগত জানান ফিন আলান। পরের বলেও আকাশসম উচ্চতায় বল হাঁকান তিনি, উঠে যায় ক্যাচ। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাত ফসকে বেরিয়ে গেলে, জীবন পান আলান। তবে তাসকিনের শেষ বলে মোহাম্মদ নাইমের হাতে ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরতে হয় আলানকে।

ঝড়ো শুরু করেও বেশি সময় উইকেটে টিকতে পারেননি মার্টিন গাপটিল। ষষ্ঠ ওভারে সাইফউদ্দিনের শেষ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে তাসকিন আহমেদের উড়ন্ত ক্যাচের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন গাপটিল। তিনি ১৮ বলে ২১ রানে।

পরের ওভারেই বল হাতে চমক দেখান শরিফুল ইসলাম। তিনি ভয়ংকরী ডেভন কনওয়েকে আউট করেন। শরিফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে বন্দি হন কনওয়ে। তিনি ৯ বলে ২টি চারে ১৫ রান করেন।

দ্রুতই ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর উইল ইয়াং এবং গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটে ভর করে লড়ছিল কিউইরা। রান রেট ঠিক রেখে এগোচ্ছিল তারা। এরপর ১২তম ওভারের ৪র্থ বলে মেহেদি হাসানকে উড়িয়ে মারতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ব্যর্থ হন ইয়াং। এই সুযোগেই তাকে স্ট্যাম্পিং করেন লিটন দাস। দলীয় ৯৪ রানে ব্যক্তিগত ১৭ বলে ১৪ রানে ফেরেন ইয়াং।

ইনিংসের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলের পরেই বৃষ্টি নামে নেপিয়ারে। তাই বৃষ্টিতে খেলা কিছু সময় বন্ধ থাকে। বৃষ্টি শেষ হলে মাঠে ফিরেই মেহেদি হাসান আঘাত হানেন কিউইদের ওপর। বল করে নিজেই মার্ক চ্যাপম্যানের ক্যাচ নেন এই অলরাউন্ডার।