আ.লীগ কর্মী খুন, আহত ১৫

মাগুরার শালিখা উপজেলার চতুরবাড়িয়া বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় ওয়াহিদার রহমান (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে ছয় জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

যশোর হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন নিহত ওয়াহিদার রহমানের ভাই গোলাম সরোয়ার (৬৫), গোলাম সরোয়ারের ছেলে সোহাগ (২০), আলী বক্সের ছেলে ওলিয়ার রহমান (৪০), আবুল বিশ্বাসের ছেলে আহাদ আলী (২২), আলতাফ মন্ডলের ছেলে হাসান মন্ডল (২৫) ও ইনসার মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (২০)।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে তালঘড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেম্বর সরোয়ার মোল্লা ও তার ভাই ওয়াহিদার মোল্লাসহ তার সমর্থকরা পাশের চতুরবাড়িয়া বাজার থেকে তিনটি মোটরসাইকেলে ৯ জন নিজ গ্রাম কুশখালী ফিরছিলেন। পথে কুশখালী ব্রিজের ওপর পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একটি গ্রুপ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে সাবেক মেম্বার সরোয়ার মোল্লা ও তার ভাই ওয়াহিদারসহ তাদের সঙ্গে থাকা ছয় জন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াহিদারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওয়াহিদার উপজেলার কুশখালী গ্রামের তায়েজ উদ্দিনের ছেলে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, আহতদের মধ্যে গোলাম সরোয়ারের অবস্থা গুরুতর। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওয়াহিদার রহমানের মৃত্যু হয়েছে। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, র্দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার রাত ৮টার দিকে চতুরবাড়িয়া বাজারে হঠাৎ করেই ২০-২৫ জন অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। বাজারে উপস্থিত লোকজন একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে। আহতদের উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মার্চ ২৮, ২০২১ at ১৫:০৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিটি/এমআরএইস