বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মার্চ সকাল ১০ টায় উপজেলা হলরুমে সকলেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোরআন তেলোয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে পেকুয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হানিফ চৌধুরীর পরিচালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্যাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমর উদ্দিন আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টি এইচ ইউ ছাবের আহমদ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছালামত উল্লাহ, উপজেলা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আকাশ চাকমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার, পেকুয়া বি এম আই’র অধ্যক্ষ এ এম ফরিদুল আলম চৌধুরী, পেকুয়া সরকারী মডেল জি এম সি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেন।

এসময় মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা কমান্ডার ছাবের আহমদ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি আলহাজ্ব জাফর আলম এম এ বলেছেন, পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যে বাঙালিরা তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এ স্বাধীনতা অর্জন করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কে সম্মান করলে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মান পাবে। কোন সাংবাদিক হোক আর যে কেউ হোক পেকুয়ার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে আমি জাফর কাউকে ছাড় দিবো না। সাংবাদিকদের হুশিয়ার করে বলেন আমি দুর্ণীতিবাজ নই আমি কর্মবাজ। পেকুয়ার সাবমেরিন উন্নয়ন হওয়া মানে বাংলাদেশ উন্নত হওয়া সবকিছু জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। মনে রাখবেন এ সাবমেরিন নৌঘাঁটি করতে জননেত্রী সার্বক্ষনিক তত্বাবধানে হচ্ছে আর সেই কাজের আপনারা কলমের খোজা মেরে প্রশাসনকে চাপ সৃষ্টি করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতেছেন আমি চিহ্নিত করেছি কারা এসব করছে তাদের কে আমি ছাড় দিবো না। তারপরও যদি কোন কিছু জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কে অনুরোধ করবো আমার সাথে কথা বলে জেনে নিবেন।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে ৩১ বার তোপধ্বনির পর পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে উপজেলা পরিষদের মাঠে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।

মার্চ ২৬, ২০২১ at ১২:২৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমজে/এমআরএইস