বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরকারী দল অনেক দূরে : অধ্যাপক ইকবাল হোসেন

বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ থেকে আওয়ামী লীগ যোজন যোজন দুরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টি-জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু বলেন, যেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে, সেখানে সরকারী দলের পৃষ্টপোষকতায় দেশটা দুর্নীতিবাজ আর লুটেরাদের রাজ্যে পরিনত হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) বাংলামোটর দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সমসাময়িক রাজনীতি”-শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গুণগতভাবে রাজনীতিতে আজ অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। রাজনীতিতে আজ ত্যাগীদের কোন জায়গা হয় না। বরং দুর্নীতিবাজ আর কালো টাকার মালিকরা ক্রমান্বয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করছে। সুযোগসন্ধানীরা রাজনীতিকে কুলষিত করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিও একদিন হারিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব এডভোকেট মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জেএসডি’র যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট বেলায়েত হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট সভাপতি মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ জাষ্টিজ পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল কাশেম মজুমদার, কংগ্রেসের ন্যাশনাল সিনেট সদস্য নাজমুল হক বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এম তাহের উদ্দিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাশক মোস্তফা আনোয়ার রিপন, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে। আর এখন বঙ্গবন্ধুর তথাকথিত হাইব্রিড অনুসারীরা সেই রাজনীতিকে নিয়ে গেছে অবৈধ অর্থ বানানোর কৌশল হিসাবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর স্কুলজীবন থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। এমনকি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের আনন্দ বা খুশির চেয়েও জনসেবামূলক কাজের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল বেশি। আর এখন বঙ্গবন্ধুর অনুসারী নামক নব্য লুটেরা গোষ্টি জনগনের পকেট কাটছে প্রতিনিয়ত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল কথা ত্যাগ আর সংগ্রাম। যেখানে ব্যক্তিস্বার্থ, লোভ, মোহ, পদ-পদবির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের বিশ্বাসে অটল থেকেছিলেন তিনি। শুধু ক্ষমতা নয়, এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল তার লক্ষ্য। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত-উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে আপস করেননি বলেই তার জীবদ্দশায় তাকে ৪ হাজার ৬৭৫ দিন কারাগারে কাটাতে হয়েছে। আমরা যদি তার দেখানো পথ অনুযায়ী রাষ্ট্র ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি, ভোগে নয় ত্যাগে বিশ্বাস করি, তার বিশ্বাস, আদর্শ ও কর্মকে লালন করি, তাহলে সেটাই হবে তার প্রতি সত্যিকারের সম্মান প্রদর্শন।

মার্চ ১৯,২০২১ at ২৩:১৫:৫৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএমটিভি/এমএফকে