মাকে অচেতন করে মেয়েকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

মেয়েকে চাকুরিজীবি ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মা-মেয়েকে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে মাকে অজ্ঞান করে মেয়ে ৯ম শ্রেণির কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিণ সলুয়া গ্রামে।

এঘটনায় থানায় মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক মিজানুরকে আটক করেছে।

মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৩ মার্চ উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত রহিম বক্সর ছেলে মিজানুর রহমান (৫০) পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে একই ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামের শেখ ফরিদ উদ্দীনের মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীসহ তার মাকে নিজ বাড়ীতে ডেকে নেন। এরপর কোমল পাণীয়র সাথে নেশাজাত দ্রব্য মিশিয়ে তার মাকে খেতে দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর তার কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে রাখেন।

এর একদিন পর ৪ মার্চ সকালে মেয়েকে উপজেলার কপিলমুনি ধান্য চত্ত্বরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন কিশোরীকে বেহাল অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে ভিকটিমের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে পেরে তার মা মেরিনা বেগম ধর্ষক মিজানুরের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করেন।

০৭ মার্চ রবিবার রাতে পুলিশ সোনাতনকাটি বাজার থেকে মিজানুরকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

ধর্ষিতার মা মেরিনা বেগম জানান, মিজানুর তার মেয়েকে খুলনার কয়রায়স্থ চাকুরিজীবি ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবেন বলে তাকেসহ তার মেয়েকে নিজ বাড়ীতে ডেকে পাঠায়। এরপর সে তাকে অজ্ঞান করে মেয়েকে ধর্ষণ করে।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এজাজ শফী জানান, ধর্ষণ মামলায় মিজানুরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মার্চ ০৮, ২০২১ at ১৮:৫৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএনএস/এমএসএইস