নিবিড়ভাবে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা

ঋতুরাজ বসন্তের আহ্বানে গাছে গাছে মুকুলে ভরে গেছে পাইকগাছার আম গাছ। চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছ পরিচর্যায়। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে এবছর আমের বাম্পার উৎপাদন হবে।

পাইকগাছা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী উপজলোয় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬শ বানিজ্যিক আম বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে ৫৮৫ হক্টের জমিতে এসকল বাগানে গোপাল ভোগ, আম্প্রপালী, ল্যাংড়া, মল্লিকা, হিমসাগর, হাড়ি ভাঙ্গা, বারি-৪, বারি-১১, লতা ও ফজলিসহ বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ হয়েছে।

সূত্র জানায়, পাইকগাছা বরাবর আম চাষরে জন্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। উৎপাদতি আম স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। স্বাদ ও মানে ভাল হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে এ অঞ্চলের আমের চাহিদাও বেশি। সংশ্লিষ্ট চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কাঁচা আমের চাহিদার অনেকটা পূরণ হয় এ এলাকা থেকে।

কৃষি বিভাগ এবছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ হাজার ৮শ ৫০ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ নিয়মিত চাষীদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করছে। পরামর্শ মত চাষিরা গাছ ও মুকুলের পোকা দমনে নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার গদাইপুরের আম চাষি কাজী মেজবাহ উদ্দীন জানান, র্বতমানে তার বাগানরে প্রায় ৯০ শতাংশ গাছে মূকুল এসেছে। বাকি সময়ের মধ্যে সকল গাছ মুকুলিত হবে বলেও আশা তার। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে ফলন ভাল হবে বলেও আশা তার।

উপজলো কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মূলত মূকুলে পোকার আক্রমন ও গুটি ঝরার ফলে আমের উৎপাদন হ্রাসের জন্য দায়ী। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রথম থেকেই চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুযায়ী চাষিরাও সরকার অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি নিবিড়ভাবে বাগান পরিচর্যা করছেন। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশে চলতি বছর উপজেলায় আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

মার্চ ০৮, ২০২১ at১৬:২৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএনএস/এমআরএইস