মণিরামপুর পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ

মণিরামপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রেসক্লাব যশোরের সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মণিরামপুর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মৃত গোলাম রহমানের ছেলে মো. খলিলুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তারা পিতা জীবিত থাকাকালে স্থানীয়দের অনুরোধে শর্ত সাপেক্ষে মণিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালানোর জন্য ১০০ নং দূর্গাপুর মৌজার ৭৯ শতক জমি নিরুপন দলিল করে দেন। শর্ত ছিল ইউনিয়ান পরিষদবাদে উক্ত জমিতে অন্যকোন স্থাপনা নির্মাণ করিলে জমির মালিক অথবা ওযারেশগন উক্ত জমির মালিকানা ফিরে পাবেন। যার খতিয়ান নং ২৫৬ ও ৭৬০, দাগ নং যথাক্রমে ২১০, ২০৯ এবং ২০৮।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, ১৯৬০ সালের জুন মাসের ১৮ তারিখে উক্ত ৭৯ শতক জমি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য প্রদান করা হলেও বর্তমান সেখানে মনিরামপুর পৌরসভা কর্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে শর্ত ভঙ্গ করার কারনে উক্ত জমি মালিকগন নিজেদের দখলে নিতে গেলে পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বে-আইনভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এতে বাধাঁ প্রধান করেন।

সে কারণে মৃত গোলাম রহমানের ওয়ারেশ হিসাবে আমাদের পত্রিক জমি উদ্ধারের জন্য আদালতের সরণাপন্ন হই। এরই অংশ হিসেবে প্রথমে মনিরামপুর পৌরসভাকে বিবাদী করে বিজ্ঞ সহকারি জজ, মনিরামপুর আদালতে দেং ১৭৮/২০০০ মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করলে বিজ্ঞ বিচারক পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত মামলার সকল কার্যক্রম স্থাগিত করে আদেশ জারি করেন। যার কেস নং ১৩৫৪/২০১৯।

উক্ত আদেশের কপি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ডাকযোগে প্রেরণ করা হলে মনিরামপুর পৌরসভা কর্তৃকপক্ষ তা গ্রহণে করেন।

খলিল আরও বলেন, হাইকোর্টের আর্দেশ অমান্য করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের নির্মাণ করা দীর্ঘদিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শনিবার (০৬ মার্চ) থেকে ভাংচুর শুরু করেন। যা বিজ্ঞ আদালত অবমাননার সামিল।

সংশ্লিষ্ঠ মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন খলিল। এসময় অন্যান্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মার্চ ০৭, ২০২১ at১৫:০৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ডিপি/এমআরএইস