ঘোড়াঘাটে এক প্রতারক শিক্ষকের প্রতারণা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মেয়েকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুস সাত্তার নামের এক প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে প্রতারনা করে ৪৩ শতক জমি ও টাকা আত্মসাৎ করেছে সিংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিছুর রহমান।মেয়ের চাকুরীর জন্য টাকা লাগবে কথা বলে ৪৩ শতক জমি লিখে নেয়াসহ বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই শিক্ষক।এর পরও সে আরও ৬১ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার গোপনে প্রস্তুতি নিয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।

বিদ্যালয়টি প্রতিবন্ধী আব্দুস সাত্তারের বাড়ির নিকটে হওয়ায় শিক্ষক প্রতিবন্ধীর বাড়িতে যাতায়াত করত। আব্দুস সাত্তার প্রতিবন্ধী ও অক্ষম হওয়ায় এবং দারিদ্রতার সুযোগ নেয় ওই শিক্ষক। চাকুরী আজ দিবে কাল দিবে টাল বাহানা করে কাল ক্ষ্যাপন করতে সে। প্রতিবন্ধী আব্দুস সাত্তার তার প্রতারনা বুঝতে পেরে অবশেষে বাদী হয়ে ওই প্রতারক শিক্ষক মোঃ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় জমি ও টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ দাখিল করেছে।

প্রতিবন্ধী আঃ ছাত্তারের ঘোড়াঘাট থানার অভিযোগ সুত্রে জনা গেছে, প্রতিবন্ধী আঃ ছাত্তার দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া গ্রামের এক জন প্রতিবন্ধী। তিনি রানীগঞ্জ বাজারে পান সিগারেট এর দোকানের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে ।তার বাড়ির পার্শ্বে সিংড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আনিছুর রহামান প্রধান শিক্ষকের পদে শিক্ষকতা করেন । সেই সুবাধে ওই শিক্ষক প্রতিবন্ধীর বাড়িতে যাতায়াত করত।শিক্ষকের সাথে ৪ বৎসর হতে তার পারিবারিক ভাবে পরিচয় ঘটে। দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রবিন্ধীর বাড়ীতে যাতায়াত সহ স্কুল চলাকালে প্রায় দিন খাওয়া দাওয়া করে থাকেন।

শিক্ষক আনিছুর রহমান গত এক বৎসর পূর্বে তার মেয়ে মোছাঃ মরিয়ম আক্তার মুন্নিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী দেওয়ার কথা বললে প্রতিবন্ধী আব্দুস সাত্তার এন,জি,ও হতে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা লোন নিয়ে শিক্ষক আনিচুর রহমানকে দেয়।এ ছাড়াও ওই শিক্ষক ২৫ হাজার টাকা ধার নেয়। তার মেয়ের যথা সময়ে চাকুরি না দেওয়ায় এবং তার পক্ষে লোনের কিস্তি দেওয়া কষ্টকর হওয়ায় প্রতিবন্ধী আব্দুস সাত্তার জমি বন্ধক রাখার প্রস্তাব দিলে আব্দুস সাত্তারের নিকট থেকে জমির কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নেয়।

সে কৌশলে প্রতারনা করে তার নিকট হতে ৪৩ শতাংশ জমি ৭ লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে খোশ কবলা রেজিষ্ট্রি করে নেয়। মেয়ের চাকুরির কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় টাকা ফেরৎ বিভিন্ন অজুহাতে সময় অতিবাহিত করে আসতে থাকে ।আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী শিক্ষক আনিছুর রহমানের বাড়ি গোপালপুর,(বুড়াবুড়ি পাড়া) গ্রামে পুনরায় টাকা চাইতে গেলে শিক্ষক আনিছুর রহমান বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১ at১৬:৫২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমইউএএম/এমআরএইস