চসিক নির্বাচন বাতিল ও নতুন তফশীল ঘোষণা চেয়ে সিইসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ডা.শাহাদাতের মামলা

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে চসিক নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশীল ঘোষণার মাধ্যমে পুণঃনির্বাচন দাবী করে সিইসি, নির্বাচন কমিশন সচিব, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম জেলা যুগ্ম জজ খাইরুল আমিনের আদালতেএ মামলা করেন।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে আদালতে লিখিত আবেদন করা হলেও এ ব্যাপারে কোন শুনানী হয়নি।

মামলায় সিইসি, সচিব ও চসিক মেয়র ছাড়াও অন্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং অফিসার, মেয়র প্রার্থী আবুল মঞ্জুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র দখল, সহিংসতা করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তারা। প্রশাসনের ভূমিকায় আমি হতাশ। আমাকে ২২টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট দেখানো হয়েছে। কিভাবে এ রকম ফলাফল হয়? ২২ কেন্দ্রে কি আমি একটি ভোটও পেলাম না?’

তিনি আরও বলেন, ‘চসিক নির্বাচনে ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪-৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দিন শেষে সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম। ৭ দিন সময়ও দিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পরেও এই তথ্য কমিশন দিতে পারেনি। নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে মাত্র ১০টি বুথে ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়েছে। যদি ১০টি বুথের ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকে তাহলে সবগুলো ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকার কথা। কিন্তু তারা এটা দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে। এছাড়া ভোটের পরদিন পত্রপত্রিকায় আসা নিউজের কাটিং আমি তথ্য হিসেবে মামলায় সংযুক্ত করেছি।’

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং বির্তকিত নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশীল ঘোষণা মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে পুণ:নির্বাচনের দাবীতে ৯ জনকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদি দেশে ন্যায়বিচার থাকে তবে আমি বিচার পাব বলে আশা করছি।’

উল্লেখ্য হানাহানি সংর্ঘষের ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগের মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১ at১৬:২১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএম/এমআরএইস