বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সব সিদ্ধান্ত বাতিল

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আগের সব সিদ্ধান্ত বাতিল। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ভর্তি পরীক্ষা কবে হবে তা আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ মে থেকে পাঠদান শুরু হবে এবং ১৭ মে আবাসিক হল খুলবে বলে জানানো হয়। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হতে এখনও তিন মাস বাকি। মে মাসের ২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কবে ভর্তি পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সবমিলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে আরও প্রায় চার মাস অপেক্ষা করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদের পর আগামী ২৪ মে থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুেলো খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আজ আমি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি। সারা বিশ্বে অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান করার চেষ্টা করেছে। আমরাও অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে গেছি। তবে কিছু সমস্যার কারণে সবাই অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি। দীপু মনি বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারি সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হঠাৎ করে শুরু হয় অস্থিরতা। হলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা কয়েকদিন থেকেই আন্দোলন করে আসছিল। এমনকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হলে তালা ভেঙে শিক্ষার্তীরা ভেতরে প্রবেশ করার ঘটনাও ঘটেছে। আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হলের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়েও হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দীর্ঘ এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।