চিকিৎসকে জোর করে বিয়ে করার চেষ্টা, কথিত নববধূ গ্রেফতার

রাজশাহী নগরীতে বারিন্দ মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে জোর করে বিয়ে করার চেষ্টা করায় মোসাঃ পাপিয়া সুলতানা অরফে পপি (৩০) নামের এক প্রতারক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে কাবিননামা ও চিকিৎসকের স্বাক্ষরিত তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। ওই চিকিৎসকের নাম মোঃ মাহাবুব আলম (২৭)। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁ জেলার হরিপুর থানাধীন খামার গ্রামে। পিতার নাম: মোঃ আফজাল হোসেন।

জানা যায়, পদ্মা আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক মাহাবুব আলম। একই বিল্ডিং-এর পাশের ফ্ল্যাটে নিজ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন পাপিয়া সুলতানা অরফে পপি। এরই সুবাদে চিকিৎসকের সাথে ওই মহিলার পরিচয় হয়।

পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন মাহাবুব। সেই সূত্রে পপির মেয়েকেও পড়াতেন। এতে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর মাহবুব অন্য বাসা ভাড়া নেন। তারপরও যোগাযোগ অব্যাহত ছিল তাদের।

আগামী ২৬ তারিখ বিসিএস পরীক্ষা দেবার জন্য একেবারে ঢাকায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন চিকিৎসক মাহবুব। বিষয়টি জানতে পেরে পপি গত (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চিকিৎসক মাহাবুবকে ফোন দিয়ে বাসায় ডাকেন বলেন, তিনি খুব অসুস্থ। সরল বিশ্বাসে মাহবুব পপির বাড়িতে যান। এ সময় পাঁচজন যুবক মহিলার বাড়িতে প্রবেশ করে।

ওই যুবকদের দাবি তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক আছে। তাই চিকিৎসককে বিবাহ করতে হবে। রাজি না হওয়ায় মারধর করাসহ জীবননাশের হুমকি দেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

বাধ্য হয়ে কাবিননামায় এবং তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে হয় চিকিৎসক মাহবুবকে। এরপর পপি চিকিৎসককে বলেন, হয় সংসার করো না হলে দেনমোহরানা ২০ লাখ টাকা দিয়ে ডিভোর্স নিয়ে নাও। ওই রাতেই চিকিৎসককে বাসায় যাবার জন্য ছেড়ে দেয় পপি।

এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুম মনির বলেন, প্রতারনার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পপি নামের এক প্রতারক নারীকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ফাঁকা স্ট্যাম্প। আটক করা হয় কথিত কাজীকেও।

ওসি আরও বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ভুয়া কাজি ও প্রতারক নারী পপিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অজ্ঞাত নামা অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।