ভাই-বোনসহ সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক আটক

সিলেটের শহরতলীর শাহপরাণ এলাকায় ভাই-বোনসহ মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় রুবিয়ার সৎ ছেলে আবাদ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আবাদ হোসেন ছুরি দিয়ে তার সৎ মা ও বোন ও ভাইকে কুপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও বোন মারা যান। আর আহত অবস্থায় তার সৎ ভাই তাহসনাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

আরও পড়ুন:
ফুলছড়িতে ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীকে হত্যা
যশোর আদালতে হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ
২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন হবে কি না- তা নিয়ে এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোটাররা

তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তকে ছুরিসহ আটক করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধার করার সময় ওই বাড়ি থেকে রক্তমাখা একটি ছোরাসহ এক কিশোরকে (১৭) আটক করা হয়েছে। ওই কিশোর নিহত নারীর সৎপুত্র। নিহত নারীর নাম রুবিয়া বেগম (৩০) ও তাঁর মেয়ের নাম মাহা বেগম (৯) ও ছেলের নাম তাহসিন (৭)। তাহসিন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় রুবিয়া বেগমের স্বামী আবদাল হোসেন (৪২) বাড়ির পাশেই মুদিদোকানে ছিলেন। তিনি মুদি ব্যবসায়ী।

আনিসুর রহমান আরও জানান, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। পারিবারিক কলহের জের ধরে সৎ মা-ভাই-বোনকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে কিশোর। ঘটনাস্থলে মা-মেয়ে মারা যান। দুজনের পুরো শরীরে এলোপাতাড়ি কোপ ও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শয়নকক্ষের খাটের তোশকে আগুন ধরিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার সময় পুলিশ কিশোরকে আটক করেছে।