২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন হবে কি না- তা নিয়ে এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোটাররা

আসছে ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন হবে কি, হবে না- তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন ভোটাররা। সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ৩ ব্যক্তির আবেদনের কারণে গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এক আদেশে যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সেই নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) যশোর পৌরসভার নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করে।

অপরদিকে, এদিনই হাইকোর্টের দেয়া তিনমাসের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। সে হিসাবে ২৮ ফেব্রুয়ারিই নির্বাচন হওয়ার কথা।

তবে নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) নির্বাচন স্থগিত করায় ভোটাররা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন ঐদিন ভোট হবে কি না তা নিয়ে। কারণ চেম্বার জজের আদেশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত জেলা নির্বাচন অফিসও এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীরও একই কথা বলেছেন। তিনি জানান,  চেম্বার জজের আদেশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত যশোর পৌরসভার ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকবে।

উল্লেখ্য,  গত ৯ ফেব্রুয়ারি সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা সংশোধন ইস্যুতে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ যশোর পৌরসভার নির্বাচন তিনমাসের জন্য স্থগিত করেন। পরে নির্বাচন কমিশন ঐ স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করে। সেই আবেদনের পর হাইকোর্টের দেওয়া তিনমাসের স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত আজ স্থগিত করেন। সে হিসাবে ২৮ ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) যে আদেশ দিয়েছেন তা নির্বাচন কমিশনে পৌঁছুলেই নির্বাচন কমিশন তাদের স্থগিতাদেশ তুলে নেবে।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশনের আজকের নির্দেশনা মোতাবেক যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। হাইকোর্টে নতুন কোনো আদেশ হলে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যতক্ষণ নতুন  কোনো নির্দেশনা না দিচ্ছে, ততক্ষণ নির্বাচন স্থগিতই থাকবে।