ভালোবাসা দিবসে যশোরের তরুণদের অনন্য উদ্যোগ

১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর সেই ভালোবাসা সব পেশাজীবী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে রাস্তায় নেমেছেন একঝাঁক তরুণ-তরুণী। এদের সবার গায়ে সবুজ রঙের টি-শার্ট। টি-শার্টের সামনে লেখা আছে “লাভ ফর অল”। আছে লাভ চিহ্নও। আর হাতে লাল গোলাপ। যেখানে যাকেই পাচ্ছেন তার হাতে একটি লাল গোলাপ ধরিয়ে দিয়ে ভালোবাসা ব্যক্ত করছেন “জুম বাংলাদেশ” নামের এই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

রবিবার সকালে সংগঠনের যশোর শাখার সমন্বয়ক শামছুল আলম ও সদস্য সচিব সরদার ফরিদ আহমেদ এর নেতৃত্বে যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্বর থেকে সংগঠনটির তরুণেরা এক পদযাত্রার মাধ্যমে সবাইকে লাল গোলাপ দেওয়া শুরু করেন। পরে তারা দল বেঁধে যশোর শহরের দড়াটানা, টাউন হল রোড, সিভিল কোর্ট মোড় এবং যশোর প্রেসক্লাবে গিয়ে সাধারণ মানুষ, চা দোকানি, নিরাপত্তা কর্মী, পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, পরিছন্নতা কর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, ডাক্তারসহ সব ধরনের পেশাজীবী মানুষকে তারা লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

জন্মের পর থেকেই মানুষ ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠে। কিছু ভালোবাসা রক্তের সম্পর্কের কিছু ভালোবাসার সৃষ্টি প্রত্যহিক জীবনে চলতে গিয়ে; তেমনি ভাবে কিছু ভালোবাসা আন্তরিকতারও হয়। ভালোবাসা আমাদের সহজাত মানবিক প্রবৃত্তি। তাই আসুন এই ১৪ই ফেব্রুয়ারি সবাই মিলে সৃষ্টি করি ভালবাসা দিবসের নতুন সংজ্ঞা; গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি দূর করে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করি।

সংগঠনটির উদ্দেশ্য কী, তা জানতে চাইলে সংগঠনের উদ্যোক্তারা বলেন, ভালোবাসা দিবস মানেই সবাই মনে করেন এই ভালোবাসা কেবল প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই। মানুষের এই গতানুগতিক ধারণাকে পাল্টে দিতেই আমাদেও প্রয়াস। আমরা চাই সবাই সবাইকে ভালোবাসুক।

ভালোবাসা দিবসে সবাইকে ফুল দেওয়া তরুণ-তরুণীরা জানান, ভালোবাসাকে সমাজের সব পেশাজীবীর প্রতি নিবেদনের মাধ্যমে তারা এটাই বোঝাতে চান যে আসলে ভালোবাসা কখনও এককেন্দ্রিক হতে পারে না। সবার ভালোবাসা সবার জন্য থাকা শ্রেয়। ভালবাসা কোনও নির্দিষ্ট দিন বা ব্যক্তির জন্য নয়। সকলের জন্য। আমরা ভালোবাসা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।

জুমবাংলা ইয়ূথ ফাউন্ডেশন মূলত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সুবিধাবঞ্চিত, ছিন্নমূল পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া জুম বাংলাদেশ স্কুল নামে ৭টি স্কুল পরিচালনা করছেন তারা যেখানে প্রায় ৪শ’ পথশিশু লেখাপড়া করে। সংগঠনের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে সর্বমোট প্রায় ১,৫০০ জন সদস্য রয়েছে। এরা সবাই বেসরকারি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থী।