আসন্ন চৌগাছা পৌরসভা নির্বাচনে আবারও নৌকার মাঝি হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বর্তমান মেয়র নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল। চৌগাছা পৌরসভায় উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার জন্য দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চৌগাছা পৌরসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মোট ৪ জন মেয়র প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। এরা হলেন নৌকা প্রতীকের নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, ধানের শীষ প্রতীকের আব্দুল হালিম চঞ্চল, পাখা প্রতীকের মো. শিহাব উদ্দিন শিহাব ও স্বতন্ত্র হিসেবে জগ প্রতীকের মাস্টার কামাল আহমেদ।
দ্বিতীয় বারের মত আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল। দলের একাধিক নেতা বলেন, তিনি নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর দলের মধ্যে যে ভেদাভেদ ছিল তা বলাচলে অনেকটাই কেটে গেছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে আওয়ামীলীগের বিবাদমান দু’গ্রুপ এক হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নেতারা মনে করছেন, তরুণ নেতা হিমেল বিগত পাঁচ বছরে পৌরসভার যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তাতে আবারও নৌকার জয় হবে।
নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল চৌগাছা পৌরসভার পশ্চিম কারিগরপাড়ার মরহুম আলহাজ ওয়াজিউল্লাহ ও মোছাঃ রাশিদা বেগমের বড় ছেলে। ১৯৮০ সালের ১৮ আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মূলত ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। লেখাপড়ায় বিএ অনার্স শেষ করলেও কোন চাকুরির সন্ধান না করে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি রাজনীতিকে তিনি আগলে রাখেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি চৌগাছা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হিসাবে আছেন। নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চৌগাছা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সাবেক মেয়রের রেখে যাওয়া উন্নয়ন কাজকে গুরুত্ব দিয়ে শেষ করেন। পাশাপাশি নতুন নতুন কাজ করে খুব অল্প দিনেই তিনি পৌরবাসীর কাছে প্রিয় হয়ে উঠেন।
নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল জানান, বিগত ৫ বছরে তিনি অসংখ্য উন্নয়ন কাজ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কপোতাক্ষ নদের পশ্চিম পাশে পৌর পার্কের জন্য ৬০ শতক জমি ক্রয়, কংশারীপুরে পশুহাট স্থাপনে ৪০ শতক জমি ক্রয়, জিওয়লগাড়ি এলাকায় বজ্র ব্যবস্থাপনার জন্য জমি ক্রয় ১২৩ শতক, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিশ্বাসপাড়ায় পানি শোধনাগারের জন্য ৪৬ শতক জমি ক্রয়, পানি সরবরাহ করতে ২৯ কিলোমিটার পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক সৃষ্টি, ওভার হেড ট্যাংকি নির্মাণ, পৌরসভা চত্তর, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ও বিশ্বাসপাড়ায় তিনটি পাম্প হাউজ নির্মাণ, তিনটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ।
এছাড়া এলাকার আরও উন্নয়নে তিনি ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে এসেছি মানুষের সেবা করার জন্য। আমি বয়সে তরুণ, এই বয়সে পৌরবাসী আমার ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমি বিশ^াস করি তার অনেকটাই পালন করতে পেরেছি। আসন্ন নির্বাচনে আবারও নৌকার প্রার্থী হয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। আমি বিশ^াস করি, উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে পৌরবাসী আবারও আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।
উল্লেখ্য,আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চৌগাছা পৌরসভায় ইভিএমএ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।