তালাইমারি পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা বরখাস্ত

জশাহী মহানগরীর তালাইমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায়, মাদকসহ আসামী ধরে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া, অবৈধ যানবাহন নিজের করে তা ফাঁড়িতে রেখে ব্যবহার করাসহ মিমাংসার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরিুদ্ধে।

এমনই এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক গত মঙ্গলবার বিকেলে তালাইমারি ফাঁড়িতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত এসআই মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও কর্মে অদক্ষতার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদর গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও কর্মে অদক্ষতার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে জায়ফুল ইসলাম সোহেল নামরে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হেরোইনসহ ভদ্রা জামালপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তালাইমারী ফাঁড়ির পুলিশ। এই সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় পূর্বের মাদকের মামলা আছে।

আটকের পর আসামী সোহেলকে ফাঁড়ির এসআই মাসুদ রানার কাছে হস্তান্তর কর হয়। তবে হেরোইনসহ আটক ওই আসামীর খবর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ও মামলা না দিয়ে মাসুদ রানা গোপনে আসামীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য দেনদরবার শুরু করেন।

তবে হেরোইনসহ আসামী আটকের এই ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে ফাঁড়িতে স্বশরীরে উপস্থিত হন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।

অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎখনিক এসআই সাসুদকে সাসপেন্ড করেন পুলিশ কমিশনার এবং তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়।

চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনির জানান, ফাঁড়িতে পুলিশ কমিশনার আসার পর ২৫ গ্রাম হোরোইনসহ সোহেলকে গ্রেফতার দেখিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। এসআই মাসুদ রানাকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি জানান, কমিশনার নিজে ফাঁড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

এসআই মাসুদ রানার কর্মকান্ডে অনিয়ম পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন কমিশনার।

এদিকে তালাইমারী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যসহ একাধিক স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, অভিযুক্ত এই এসআই মাসুদ রানা ফাঁড়ির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক অনিয়ম করে আসছেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় এলাকায় মাদক, অসামাজিক কর্মকান্ডসহ নানা অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করেন এবং এর বিনিময়ে মাদকব্যবসায়ীরা এলাকায় মাদকের অভআরণ্য গড়ে তুলেছেন। কিছুদিন আগে তার বিরুদ্ধে চোরাই প্রাইভেটকার ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।