চিহ্নিত মাদক কারবারীরা কুপিয়ে জখম ও পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে দুই রাজমিস্ত্রি‘র

রাজশাহীর চারঘাটে দুইজন রাজমিস্ত্রিকে কুপিয়ে জখম ও পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে চিহিৃত মাদক কারবারীরা। এ ঘটনায় গত রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে চারঘাট মডেল থানায় ভুক্তভোগী মোঃ আমির হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে গত (২৮ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ইউসুফপুর পশ্চিম পাড়া বাজারে শরিফের দুই ছেলে আরিফ ও আগুন, জিনারুলের ছেলে সানারুল, আইনুলের ছেলে মান্না, হারান পরামানিকের ছেলে মঞ্জুসহ ১০/১২জন মাদক কারবারী মিলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে বে-ধড়ক পেটাচ্ছিলো। ওই ব্যক্তির চিৎকারে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় চাচা আমির হোসেন ও ভাতিজা হালিম। এতে মাদক কারবারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসুয়া, রড, জিআইপাইপ, হাতুড়ী, ক্ষুর দ্বারা তাদের এলোপাথাড়ী ভবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একই সাথে আমির হোসেনের দুই পা ভেঙ্গে দেয়।

আহত মোঃ আমির হোসেন (৪২) চারঘাট থানাধিন ইউসুফপুর পশ্চিম পাড়া বাজারে হালিমের ছেলে ও একই গ্রামের হমিদ সিপাইয়ের ছেলে হালিম (২২)। তারা সম্পর্কে আপন চাচা ও ভতিজা। পেশায় তারা রাজমিস্ত্রি।

ওই সময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তারা দু’জনই রামেকের ৩১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে গত রোববার তারা ছুটি পেয়ে মামলা করেছেন।
আহত আমির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ইউসুফপুর কান্দি পাড়া গ্রামের ১৫-২০জন মাদক কারবারী মিলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে পিটাতে দেখে তাকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে যাই। কিন্তু তারা আমাদের দুই চাচা-ভাতিজাকে এই ভাবে অমানুষিক নির্যাতন করবে তা আমি ভাবতে পারিনি।

মাদক ব্যবসায় কোন পরিশ্রম করা লাগেনা। মাদক ব্যবসার দ্বিগুন মুনাফার কারনে অল্প সময়ের মধ্যে এই অমানুষ গুলো অনেক অর্থের মালিক বনে গেছে। তাই টাকার গরমে তারা মানুষকে আর মানুষ মনে করেনা। অথচো তারাও এক সময় দরিদ্র ছিলো। কেউ ছিলো মাছ শিকারী, কেউ কৃষক, আবার কেউ ছিলো ভ্যান চালক।

এ ব্যাপারে চারঘাট থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুইজন রাজমিস্ত্রিকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান করছে পুলিশ বলেও জানান ওসি।