গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, এখনও আতংকিত মানুষ

গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব কোমরনই কেন্দ্রে পুলিশ জনতার সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও পরবর্তীতে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে গাইবান্ধার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম মোহাম্মদ খালেদ এর বাড়ীসহ ঐ এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে পুলিশ হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে ওই এলাকায় মানুষ আতংককিত হয়ে পড়ে এবং পুরুষ শূন্য হয়ে যায়। যা আজও অব্যাহত আছে। এখন ওই এলাকার অর্ধকেরও বেশী পুরুষ মানুষ বাড়িতে ফিরে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জেলা নেতৃবৃন্দ।

রবিবার বিকেলে সরেজমিনে আতংকিত ওই এলাকা পরিদর্শনে যান রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের জেলা নেতৃবৃন্দ। তারা মরহুম খালেদ এর পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন এবং তাদের কথা শোনেন। পরে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় প্রবীন রাজনীতিক আমিনুল ইসলাম গোলাপ বলেন, নির্বাচনের দিন পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার সাথে জড়িতদের অবশ্যই আমরা শাস্তির দাবি জানাই।

কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ ও র‌্যাব আগুন দেয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে গণহারে মোহাম্মদ খালেদের বাড়িসহ ওই এলাকায় প্রায় ১০টির মত বাড়িতে যে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে এবং বাড়ির ঘরের ভিতরে ঢুকে মোটর সাইকেল, টিভি, ফার্নিচার ভাংচুর কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আমরা মনে করি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিৎ ও দোষী পুলিশ ও র‌্যাবের বিচার দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, গণফোরাম জেলা সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুরাদ জামান রব্বানী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক মিলন সরকার, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা কাদের নেওযাজ, উদীচী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল গনি রিজন, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, আমরা নব্বই এর যোদ্ধার অন্যতম সদস্য গোলাম রব্বানী মুসা, কামরুল হাসান প্রমুখ ।

জানুয়ারী, ২৫, ২০২১ at ১৭:০৪:২৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসকেবি/এমআরএইস