ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে আ’লীগের বহিস্কৃত নেতাদের সাংবাদিক সম্মেলন

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত নেতা কর্মীরা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। রবিবার দুপুরে বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দারের বাড়ি শিতলী গ্রামে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৩ শে জানুয়ারি শনিবার বহিস্কার করা হয়েছে হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম শরিফ ও হরিণাকুন্ডু পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুকে। এই বহিস্কার অবৈধ দাবী করে লিখিত বক্তব্যে সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৪৭ ধারার ১০ উপ-ধারায় উল্লেখ আছে কাউকে বহিষ্কার করতে হলে জেলা কমিটি সাধারন সভায় ২/৩ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ পাঠাতে হয়। তারপর তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে তখন কেন্দ্রীয় কমিটি চুড়ান্ত বহিষ্কার করবে। তার আগে এই আদেশ কোন গণ মাধ্যমে দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যদি জাতীয় বা স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে, সে ক্ষেত্রে সরাসরি বহিস্কার করার নিয়ম আছে। কিন্তু আমরা তো কেউ প্রার্থী না বরং নৌকা প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি।

লিখিত বক্ত্যবে তিনি আরও বলেন, আমি গত ২৩ জানুয়ারি বেলা ৩ টায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপির সাথে নৌকা প্রতীকের প্রচার- প্রচারনা করছিলাম। প্রচারনা শেষে ঝিনাইদহ ফেরার পথে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ আমাকে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম শরিফ এবং হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুর রহমান রিন্টু কে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। তিনি দাবী করেন, সক্রিয় ৩ নেতাকে অন্যায় ও বেআইনীভাবে বহিস্কার করেছে। যা দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে বহিস্কৃত ৩ নেতা ছাড়াও হরিনাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে কোন্দল তীব্র আকার ধারন করতে পারে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

এদিকে বহিষ্কারের কারন হিসাবে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ জানান, ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত হরিণাকুন্ডু পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর ফারুক হোসেনকে মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু ওই ৩ আওয়ামী লীগ নেতা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী ফারুক হোসেনের প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণাসহ মানববন্ধন, উস্কানীমুলক বক্তব্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করতে উৎসাহিত করে আসছে। এ ঘটনায় মেয়র প্রার্থী ফারুক হোসেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। যে কারনে তাদের বহিস্কার করা হয়েছে।

জানুয়ারী, ২৪, ২০২১ at ২০:৪৩:২৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএস/এমআরএইস