দিনাজপুর ঘোড়াঘাটের ভর্নাপাড়াহাট এলাকায় বাংলালিংক এর একটি টাওয়ার স্থাপনের দাবী বর্তমানে গনদাবীতে পরিনত হয়েছে। ভর্নাপাড়াহাট এলাকায় ১টি উচ্চ বিদ্যালয়,১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১৫/২০টি ব্যাবসায়ী ডিজিটাল সেন্টার সহ অর্ধ সহস্রাধিক বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিস্ঠান অবস্থিত।
এছাড়াও এলাকার শিক্ষক/শিক্ষিকা,উচ্চ শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী,সাংবাদিক,সাহিত্যিক,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ডাক্তার সহ প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ নিয়মিত ইন্টারনেট ভোগ ও ব্যবহার করে থাকেন। প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কের অভাবে দিবা-রাত্রী ১০ থেকে ১২ হাজার ব্যক্তি ইন্টারনেট সেবা/গ্রহিতারা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে সময় ক্ষেপনের হয়রানী ভোগ করে। এছাড়াও বাংলালিংক এ নেটওয়ার্কের অভাবে মোবাইল ফোন সহ উপরোল্লিখিত সেবাও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও চরমভাবে ব্যাহত হয়ে থাকে। ভর্নাপাড়াহাটে বাংলালিংকের ১টি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উপযোগী অবকাঠামো বর্তমান। এখানে টাওয়ার নিমার্নের প্রয়োজনীয় উপযোগী জায়গা দেয়ার জন্য ১জন ্রস্তুত আছেন। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কাম্য।
এব্যাপারে ইতোপুর্বে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দেয়নি বলে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অভিযোগ।উল্লেখ্য ভর্নাপাড়াহাট এলাকা চতুর দিকে ১০ থেকে ১১ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত। ভর্নাপাড়াহাট এলাকা থেকে উপজেলা সদও ১০ কিঃমিঃ,ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ স্টেশন, ১১ কিঃমিঃ, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র রাণীগঞ্জহাট ও সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদ ৭ কিঃমিঃ,রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরাহাট ১১কিঃমিঃ, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ১৬ কিঃমিঃ অবস্থিত হওয়ায় বাংলালিংক এর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করণ না করায় এলাকার ১০ থেকে ১২ সহস্রাধিক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কাম্য।
জানুয়ারী, ১৮, ২০২১ at ১১:৫৫:২৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমইউএএম/এমএমআর