রাণীশংকৈলে মাঘের শৈত্য প্রবাহে বৃদ্ধ-শিশু ও কৃষি ঝুঁকিতে

উত্তরবঙ্গের একেকারে শেষ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় চলমাস শৈত্য প্রবাহে মাঘের ১ম দিনেই বিভিন্ন স্থানে কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ। কৃষি ক্ষেত্র ও চলমান জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা প্রভাব পড়েছে বীজতলা, রবিশস্য, শিশু-বৃদ্ধদের উপর। শুক্রবার ১৫ জানুয়ারী পহেলা মাঘ সকালে ঠাকুরগাঁও আবহাওয়া অফিস সাড়ে ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে এবং সেই সাথে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে সকল শ্রণির মানুষসহ বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা পড়েছে প্রচন্ড ঝুঁকিতে।

তারা বিভিন্ন প্রকার ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। এ ব্যপারে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল আফিসার ডাক্তার ফিরোজ আলম বলেন, গত ৩-৪ দিনের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াসার ফলে শিশুদের নিউমুনিয়া ও শিশু ডায়রিয়া এবং বয়স্করা শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আমরা আমাদের হাসপাতালের ঔষধ ও চিকিৎসা সেবার কোন ঘাটতি না রাখায় আক্রান্তরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। সরেজমিনে গিয়ে সুবিধাভোগী অনেক সুস্থ রোগী একথা বলেছেন।

এদিকে শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রবি শস্যের উপর। এর ফলে মৌসুমের প্রধান ফসল বোরো ধানের বীজের চারা, আলু, সরিষা, আমের গাছের ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এ ব্যপারে কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে অফিস সুত্র জানায় চলমান শৈত্য প্রবাহে আমাদের উপজেলার প্রতিটি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রাখছে এবং ঘন কুয়াশার কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সতর্কতা ও নিয়ম মেনে ফসলের পরিচর্যা করলে ক্ষতির হাত থেকে বীজতলা ও রবি শস্যকে অনেকাংশে রক্ষা করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

জানুয়ারী, ১৫, ২০২১ at ১৯:২২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এইসকে/এমএমআর