কুমড়ার বড়ি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে চৌগাছার গৃহিণীরা

শীতের সকালে কুমড়ার বড়ি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে যশোরের চৌগাছার গৃহিণীরা । শহর থেকে গ্রাম সবখানেই এই কুমড়ার বড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কুমড়া সল্পতার কারণে ও বড়ির স্বাদ অনুসারে কুমড়ার পরিবর্তে অনেকে পিঁয়াজ ও পেঁপের বড়িও তৈরি করে থাকে। তবে কুমড়ার বড়িই গ্রাম বাংলার বিখ্যাত খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বলে জানা যায়।

বাজারের প্রতি কেজি মুগের ডাল ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। তবে বাজারে হঠাৎ করে কুমড়ার তিব্র সংকট দেখা গেছে। শীতের শুরুতে আগে যেই কুমড়ার পিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রয় হতো এখন সেই কুমড়া ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। তবে এবার পিঁয়াজের দাম কম থাকায় অনেকে কুমড়ার পরিবর্তে পিঁয়াজের বড়ি দিতেও দেখা গেছে। উপজেলার বড়খানপুরের রোজিনা আক্তার চম্পা বলেন,হঠাৎ বাজারে কুমড়া কম পাওয়া যাচ্ছে তারপরেও বেশি দাম দিয়ে কুমড়া কিনেছি বড়ি দেওয়ার জন্য।

উপজেলার নারায়ণপুর,বড়খানপুর,গুয়াতলী,হাজরাখানা,কয়ারপাড়ার বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় গিয়ে দেখা যায়, সারা রাত জেগে গৃহিণীরা ঢ়েঁকিতে বড়ি কোটে এবং খুব সকালে উঠে বাড়ির গৃহিণীরা সেই বড়ি বাড়ির ছাদে ও মাচায় এই বড়ি দিতে শুরু করে। যেন বেলা উঠার সাথে সাথে এটি শেষ করতে পারে।এর পরে ৩ থেকে ৪ দিন ধরে সেটি রোদে শুকিয়ে খাবার উপযোগী করা হয়।আর এই প্রতিটি বড়িটিতেই যেন এক মায়া ও ভালোবাসা লাগানো থাকে। যার কারণে খাবারের সময় এর স্বাদ ভিন্নতা অনুভব করা যায়।তবে গ্রাম বাংলার সকল মানুষের দাবি এই জনপ্রিয় খাবার যেন গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে না যায় ।

জানুয়ারী, ০৮, ২০২১ at ২০:৩৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/এমআরএই