বাবুর বিরুদ্ধে বিরামপুর বীর মুক্তিযোদ্ধার অর্থ আত্মসাতের মামলা

দিনাজপুর ঘোড়াঘাটের কথিত এমপির এ্যাম্বাসেডর ও কথিত সাংবাদিক সেই বহুরূপী ইফতেখার আহম্মেদ খাঁন বাবুর বিরুদ্ধে ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা করলো বিরামপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমন। ওই মুক্তিযোদ্ধা ৬ জানুয়ারী বধবার মামলাটি করেছেন। যার মামলা নং-১০। এ নিয়ে বাবুর বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাসহ থানায় ১০টি মামলা রুজু করা হলো। এর পুর্বে ওই বাবুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী,সন্ত্রাসী,মাদক ব্যবসা,মাদক সেবন, অর্থ আত্মসাৎ, চুরি, ভুমি দস্যুতা, দাঙ্গাবাজ ও আইন অমান্য সহ ৯ টি মামলা করা হয়েছে।

বিরামপুর উপজেলার মীর্জাপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ রহমানের এজাহার সুত্রে জানা যায়, তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাতপুর (কলোনী) এলাকার মৃত,সাহাব উদ্দিন খাঁনের (সাবু খাঁন) ছেলে এক জোট ভুক্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির ভুমি দস্যুতা, দাঙ্গাবাজ ও আইন অমান্যকারী লাঠিয়াল শ্রেণীর পরধন লোভী অপরের অনিষ্ট সাধনকারী, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী প্রকৃতির লোক। নিজের স্বার্থের জন্য পারে না এমন কোন কাজ তার অজানা নাই । ইফতেখার আহম্মেদ খাঁন বাবু নিজেকে দলীয় নেতা, ব্রান্ড এ্যাম্বাসেডর, যুবলীগ সদস্য, সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজ স্বার্থ হাছিল করে থাকে ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান তার এজাহারে অভিযোগ করেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাতপুর কলোনীর মৃত সাহাব উদ্দিন খাঁনের ( সাবু খাঁন) আমার বাড়িতে গিয়ে ঘোড়াঘাট ভাদুরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণাধীন রাস্তার কাজের জন্য আমার ৮টি বালু বহনকারী ট্রাক্টর/ মেসি মাসিক ৪৫ হাজার টাকা হিসেবে ভাড়া নিয়ে ট্রাক্টর ও মেসি গুলি নিয়ে আসে । ১ মাস বালু বহন করা কালীন সময় সে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মধ্য হতে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা প্রদাান করে। অবশিষ্ট টাকা দেওয়ার জন্য কিছিু দিন সময় নেয়। পরবর্তীতে অবশিষ্ট টাকা চাইতে আসলে সে আবল তাবল কথা বলে ১৫ দিনের সময় নেয় । আমি সময় নেওয়ার ১ মাস পর তার বাড়িতে এসে অবশিষ্ট টাকা দাবি করলে সে বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ বিভিন্ন ভয় ভীথী দেখীয়ে বলে যে, এই বুড়া বেটা তুই আমাকে চিনিস, আমি এমপির ব্রান্ড এ্যাম্বাসেডর ইংরেজী না বুঝিস বাংলায় একে বলে মুখপাত্র অর্থ্যাৎ একান্ত ব্যাক্তিগত লোক ।

এছাড়াও আমি একজন দলীয় নেতা, স্থানী যুবলীগ সদস্য, দল চালাতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন । এই টাকা দিয়ে আমি দলের খরচ চালাবো। তাই তোর পাওনা টাকা তোকে দিব না । তখন মক্তিযোদ্ধা টাকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে সে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। আর সে বলে তুই যদি আর কোন দিন আমার বাড়িতে টাকা চাইতে আসিস তাহলে তোকে এখানেই প্রানে মেরে তোর লাশ গুম করবো। আরো বলে যে, এই টাকা বা ঘটনার বিষয় থানা পুলিশকে জানাস তহলে তোর ট্রঠক্টর/মেসি দলের ছেলেদের দিয়ে ভাঙ্গচুর করবে বলে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।

জানুয়ারী, ০৭, ২০২১ at ১৭:০৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমইউএএম/এমআরএইস