মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইউপি পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে দূর্ব্যবহারসহ অফিস ফাঁকির অফিযোগ

মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মৃণালকান্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় সেবাগ্রহীতাদের সাথে দূর্ব্যবহারসহ অফিস ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউপি সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুর একটার পরে তার কক্ষে তালা ঝুলছিল। এসময় সেবাগ্রহীতা বেশ সংখ্যক সেবাগ্রহীতাকে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। দূর্ব্যবহারসহ অফিস ফাঁকির বিষয়ে অনেকে তদন্তপূর্বক তার শাস্তির দাবি তুলেছেন।

স্থানীয় এক কলেজ ছাত্র দাবি করেন তিনি তার জন্ম সনদ নিতে গেলে সচিব মৃণালকান্তি নানা তাল বাহনা করেন। এবং নানা অযুহাতে কিছু খরচ দাবি করেন। একই সাথে অন্যদের সাথেও তিনি দূর্ব্যবহার করেন বলে জানান, ওই কলেজ ছাত্র জানান।

শুধু রোববার নয়, সচিব মৃণালকান্তির বিরুদ্ধে নিত্য দেরিতে অফিসে যাওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের। রোববার দুপুর পর্যন্ত সচিবের কক্ষ তালাবদ্ধ ও বাইরে বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতার অপেক্ষায় থাকা সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় এক সাংবাদিক তার আইডিতে ছবিগুলো আপ করেন। এরপর সমালোচনা শুরু হয়।

খেদাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পরিষদে গিয়েছিলাম। তখন দেখি সচিবের কক্ষে তালা ঝুলছে। বাইরে বহু মানুষ অপেক্ষা করছেন। তবে এই বিষয়ে সচিব মৃণালকান্তি ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

সচিব মৃণালকান্তি বলেন, ‘ব্যাংকের কাজে মণিরামপুর বাজারে ছিলাম। তাই আসতে দেরি হয়েছে। আমি সাড়ে ১২টার দিকে পরিষদে এসেছি।’ যদিও সাংবাদিক হাফিজুর দাবি করেছেন, ছবিগুলো রোববার দুপুর একটা ২০ মিনিটে তোলা।

এখন শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি চলছে। তাই সন্তানদের জন্মসনদ নিতে খেদাপাড়া ইউপি সচিবের কাছে যেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এর আগেও দেরিতে পরিষদে যাওয়ার কারণে সচিব মৃণালকান্তিকে নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালিখি হয়েছে। তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, দুপুরে উপজেলা পরিষদে ইউএনওর সাথে সচিবের মিটিং ছিল। তাই তিনি সময়মত পরিষদে হাজির হতে পারেননি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘খেদাপাড়া ইউপির সচিব দেরিতে পরিষদে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। সচিবকে দেখা করতে বলেছি। সঠিক জবাব না দিলে পারলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’