স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মতাদর্শিক লুকোচুরি!

গণতন্ত্রের ছাঁয়ায় গা বাঁচাতে মোল্লারা করে ইসলামের চর্চা আর ইসলামের মোড়ক পরে মান বাড়াতে গণতন্ত্র হয় ফর্সা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও মতাদর্শিক লুকোচুরি বেমানান নয় কি?। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ- রাষ্ট্র পরিচালনার এই চার মূলনীতির সমার্থক হচ্ছে, মুজিববাদ (মুক্তিযুদ্ধের চেতনা)। and Islam is Total different & unique Ideology.

তবে বলা যেতে পারে, আঙ্কারায় মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের ৯৬ বছরের অগ্রসরমান পথে মুজিববাদের অন্যসকল মতাদর্শগুলো তুলনামূলক কিছুটা অনগ্রসর তাদের সামজিক চর্চার সুযোগ কম থাকায়। আর ইসলাম?। সে তো বিশ্ব রাজনীততে উচ্ছিষ্ট বা মৃতপ্রায় মতাদর্শ এখন। যার কোথাও নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা।

বাঘের চামড়া দিয়ে প্রাসাদ ডেকোরেশন করা গেলেও প্রকৃতির ভারসম্যের জন্য জীবিত বাঘই প্রয়োজন পড়ে, চামড়া নয়। Attention Expected to all religious mind. আমার মনে হয়, ছোট ছোট ইস্যুতে বৃহৎ আন্দোলন করে মুসলিম উম্মাহর মহামূল্যবান মানসিক শক্তির অপচয় করে সনদপত্রের মতো স্বল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে হয়ে যাচ্ছে তারা। বাঘের চামড়াটা দেয়াল থেকে বারবার খসে পড়লে ফের কোথায় টানাতে হবে আন্দোলনটা সেরকমই হচ্ছে।

তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গালি দিচ্ছে আবার তার দলীয় সমর্থকদের সন্তুষ্ট করার জন্য মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মিথ্যা প্রশংসাও করছে! অথচ শেখ হাসিনা তো তাই বিস্তার করছেন যা শেখ মুজিবুর রহমান বুনে গেছেন ৭২ এর সংবিধানে মুজিববাদের আলোকে। তাহলে একজনের জন্য গালি আরেকজনের জন্য তালি কেন?।

আল শামসের মুসলিম জনগণের মতো ইমান না থাকলে অবশিষ্ট শান্তিটুকুর জন্য চুপ থাকাই শ্রেয়। দেশে শৃঙ্খলা থাকলে, গণতন্ত্রের সীমাবদ্ধ সৌন্দর্যটুকুও বিকশিত হলে পশ্চিমাদের ন্যায় materialistic peace মিলতেও তো পারে।

একই মানুষ একই সাথে আল্লাহদ্রোহী ও দেশদ্রোহী দুটোই হতে পারে না নিশ্চয়। Now attention to all democrat & secular politicians. মুজিববাদ যে ইসলাম নয় সেটা শাহরিয়ার কবিরদের মতো সরাসরি বলার সৎ সাহসটুকু চর্চার ৫০তম বছরে এসে থাকা দরকার। জাতীয়ভাবে গৃহীত চার নীতির সমন্বয়ে গঠিত মুজিববাদ একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ও স্বতন্ত্র মতবাদকে কেন মডারেট ইসলাম বলে চালিয়ে দিতে হবে সংগরিষ্ঠের সমর্থন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যের নিরিখে।

পোস্টারে ‘আল্লাহ সর্বশক্তিমান’ আর ‘জয় বাংলা’ কি আসলেই এক সাথে যায়?। প্রচলিত মতানুযায়ী ধর্ম নিরপেক্ষতা যদি সকল ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষতাকেই বোঝায় তাহলে এখানে কি অন্য ধর্মের অপ্রাপ্তি থাকছে না?।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যে কাজটি করণীয় সেটা করাই তো রাষ্ট্রীয় ইবাদত (পালনীয় হুকুম)। আর সে গুলোর সবকটিই ইসলামি শরিয়ার (আইন ও সংস্কৃতি) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতেই হবে বিষয়টি তাও নয়। আর অসামাঞ্জস্যপূর্ণ হলেই সেটার পক্ষে জনসমর্থনের জন্য ইসলাম দ্বারা বৈধ সার্টিফাইড করাটাও জরুরি নয়।

উচিত হবে যার যার মতাদর্শের মৌলিক রূপ প্রকাশ্যে তুলে ধরা। মিশেলের চর্চা বাদ দিয়ে আসলের চর্চা হবে কল্যাণের স্ব স্ব আদর্শের সমর্থকদের। ভিশন স্পষ্ট না থাকলে অ্যাকশন দুর্বল হয় দুপক্ষেরই। আর রাজনীতির অ্যাকশন নিশ্চয়ই মাঠের চেয়ে মাথায় বেশি টেকসই ও কার্যকর হয়।

লেখক : মো. আক্তারুজ্জামান
সেন্ট্রাল এক্সিকিউটিভ ট্রেনার, এক্সিলেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার।