ডোপ টেস্টে রাজশাহী জেলা পুলিশের চারজন কনস্টেবল মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন।
সাত সন্দেহভাজনের ডোপ টেষ্ট করার পর চারজনকে শনাক্ত করা হয়। এই চারজনই বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। রোববার জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের আরও ৮ জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেষ্ট সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেসব ফলাফলও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসে পৌঁছাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রোববার রাজশাহী জেলা পুলিশের আরও ৮ জনের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল রয়েছেন। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে এসব টেস্টের ফলাফলও জেলা পুলিশের হাতে আসবে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে আরও কিছু সন্দেহভাজন পুলিশের ডোপ টেস্ট হবে। রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ডোপ টেস্ট কমিটি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রথমে ফলাফল ঢাকায় পুুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে থাকে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশকে ফলাফল জানানো হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি রাজশাহীর প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। মাদকাসক্ত হিসেবে যারা সন্দেহভাজন তাদের নাম গোপনে তার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন থানার ওসি বা ইউনিট প্রধান অধীনস্ত কোন সন্দেহভাজনের বিষয়টি গোপন করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গণহারে সকলের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র যারা সন্দেহভাজন তাদেরই করা হচ্ছে। এদের মুখ, চোখ ও ঠোট চোখ দেখেও অনেক সময় মাদকাসক্ত বলে সন্দেহভাজনদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। ডোপ টেস্টের সময় তাদের এসব লক্ষণও দেখা হচ্ছে।
ডিসেম্বর ০৩, ২০২০ at ১৮:৪০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআরআর/এমএআর
