কোটচাঁদপুরে বে-পরোয়া চোর ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট অভিযোগেও নেই প্রতিকার

এ যেন আলাদিনের চেরাগের মত, নেই কোন বাধা,পড়েনা ধরা, হয় না জেল জরিমানা। কোন প্রকার প্রতিকূলতা ছাড়ায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে একের পর এক ঘটছে মোটরসাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। সল্প সময়ে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা চুরি করছেন প্রয়োজনীয় ও শখের এই যানটি। ভুক্তভোগীরা সংশিষ্ট থানায় জিডি কিংবা অভিযোগ এমনকি মামলা করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। বিপরীতে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ,সাংবাদিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না সংঘবদ্ধ এই চক্রের হাত থেকে। এ যেন দেখার কেউ নেই। নেই কোন প্রতিকার। বাসা বাড়ি কিংবা অফিস, বাজার সব খানেই চক্রের এই সদস্যদের বিচরণ। শুধুমাত্র রাতের আধারেই না, দিনের আলোতেও জন সম্মুখে চক্রের সদস্যদের হানা।

অনুসন্ধানে জানাযায়, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ৪ মাসে ৮ টি চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে । একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার না হওয়ায় হতাশ ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ।

সুত্র জানায়, গেল রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডের ন্যাশনাল কম্পিউটারের পাশ থেকে প্রাইভেট পড়তে যেয়ে মুনতাসির ছুয়াগ নামের এক ছাত্রের ডিসকভারী মোটরসাইকেল চুরি হয়।

এর আগে একই স্থান থেকে কম্পিউটিার সেন্টারে আসা জনৈক্য ব্যক্তির চুরি হয় একটি বাইসাইকেল। গেল ১৫ নভেম্বর টি এন্ড টি অফিসের সামনে থেকে ছিনতাই হয় এক পথচারী মহিলার গলার চেইন। এর আগে ছিনতাই হয় টি এন্ড টি পাড়ার সলেমানের মেয়ে ছোয়ার গলার চেইন। গেল আগষ্ট মাসে মামুনশিয়া গ্রামের নয়নের একটি মোবাইল ছিনতাই হয় । এর আগে ছিনতাই হয় কাগমারী গ্রামের শুভ নামের এক যুবকের মোবাইল। গেল ২ নভেম্বর তালসার-কোটচাঁদপুর রাস্তা থেকে ছিনতাই হয় এক গৃহবধুর গলার চেইন।

১০ সেপ্টেম্বর ছিনতাইয়ের শিকার হন সলেমানপুরের এক গৃহবধু। এ সব ছিনতাইয়ের বেশির ভাগ ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে মোটরসাইকেলে করে। যার অধিকাংশ হয়েছে পৌর শহরের মধ্যে। এদিকে এ সব ঘটনার কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়েছেন সাধারন মানুষ। এঘটনায় কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মোটর সাইকেলের বিষয় নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। ওসি জানান, ছুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে।

ডিসেম্বর, ০১, ২০২০ at ২১:২৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমআরইউ/এমআরআই