যবিপ্রবি‘র শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ সেমিস্টার ফি মওকুফ

করোনা মহামারীর কারণে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি ৪০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৬৩ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সদস্যদের অনেকে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে স্বশরীরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অংশ নেন। বোর্ডের শুরুতে রীতি অনুযায়ী যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন রিজেন্ট বোর্ডে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, যবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ সেমিস্টার ফি কমানোর সুপারিশ করে। করোনা মহামারীর সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে রিজেন্ট বোর্ড এটি অনুমোদন করছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। এ ছাড়া আর্থিকভাবে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে অনলাইনে সম্পন্নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের সভায় যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ, ঢাকার সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো: সলিমুল্লাহ, ঢাকার সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মতিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর সেখ আবুল কাওসার, সরকারি সিটি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান প্রধান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মুহা. আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নভেম্বর, ২৮, ২০২০ at ১৬:৪৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআর/এমআরআই