মহাস্থান হাটে সবজির ব্যাপক আমদানি, দাম না পাওয়ায় হতাশ উৎপাদনকরী কৃষকরা

ব্যাপকহারে কমতে শুরু করেছে মৌসুমি শীতের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামের ব্যাপক দরপতন হয়েছে।
আজ একদাম তো কাল আরেক দাম। এমন চিত্র দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সবজির ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান সবজির হাটে। ২৮ নভেম্বর শনিবার সকালে মহাস্থান সবজির হাট ঘুরে দেখা যায়, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর ও গাবতলী এলাকার সবজি উৎপাদককারীরা  বাজারে পর্যাপ্ত সবজির আমদানি করেছে। সকালে একটু দাম বেশি হলেও বেলা বারার সাথে সাথে দাম আরও নিম্মমুখী হয়। এ যেন ভেলকিবাজির খেলা। হঠাৎ এ দরপতনে সবজি চাষীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরে। বাজারে আগত একাধিক সবজি বিক্রেতা চাষীদের সাথে সবজির দরপতনের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, উত্তরবঙ্গের সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বগুড়া জেলা শীর্ষে, এবার বর্ষায় টানা ৪ বার ফসলের ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি এখনো আমরা পুষে উঠতে পারিনি। তারা আরও জানান, বর্ষাকাল কেটে আবার জমি পরিচর্যা করে শীতের সবজি উৎপাদন করেছি। শীতে আগাম সবজিতে দাম ভাল পেয়েছি। কিন্তু তখন তেমন ফসলের ফলন তেমন আনতে পারিনি। শীত শুরুতে এবার বাম্পার ফলন হলেও দাম কমতে থাকায় আমাদের মুখে হাসি নেই। বহুকষ্টে উৎপাদিত ফসলের হঠাৎ দরপতনে আমরা এখন দিশেহারা। কারন অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাহিদার চেয়ে আমদানি-ই বেশি। বাইরের বড়বড় পাইকাড়রা তাদের যেটুকু কাঁচামাল লাগবে তারা সেটুকু কিনেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছে।  আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় চাষীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে কেউ কেউ সবজি নাম মাত্র দামেও বিক্রি করছে। শনিবার মহাস্থান সবজিহাট ঘুরে সবজির মূল্য বিশ্লেষণ করে  জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগেও যে ফুল কপি ছিল, ১২০০থেকে ১৪০০টাকা মণ, এখন তার দাম দাড়িছে ৪০০থেকে ৪৫০টাকা মণ। যে মুলার দাম ছিল, ৮০০ থেকে হাজার টাকা মণ সেই মুলা এখন ১০০থেকে ১৫০ টাকা মণ। বাজারে অন্যান্য সবজির একই ভাবে দরপতন দেখা গেছে। হঠাৎ বাজারে দরপতনের কারণে অনেক কৃষকের চোখে মুখে হতাশার ছাপও দেখা গেছে।  এ ব্যাপারে সবজি চাষী শিবগঞ্জ উপজেলার টেপাগাড়ী গ্রামের ফজলুর রহমান অভিন্ন সুরে বলেন, আমাদের এলাকার সবজির দেশের বিভিন্ন বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে বাজার দর হঠাৎ বাড়ছে আবার কমছে। এটি দুরের পাইকারদের কারসাজি বলেও তিনি মনে করছেন।