গাইবান্ধায় অ্যাসাইনমেন্টের টাকা কম দেয়ায় ছাত্রকে বেদম প্রহার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে অ্যাসাইনমেন্টের টাকা কম দিতে চাওয়ায় নাহিদ মিয়া নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। লাঠির আঘাতে নাহিদের হাতের কুনইসহ আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলার কিশামত তাজপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নবম শ্রেণির ছাত্র নাহিদ মিয়া (১৪) ফরিদপুর ইউনিয়নের সাবেক তাজপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর নাহিদকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা।

লিখিত অভিযোগে যানাযায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নাহিদ বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা চলাকালে পাতা শেষ হলে নাহিদ ক্লাসের শিক্ষক মিজানুরের কাছে অতিরিক্ত খাতা চায়। কিন্তু মিজানুর তার কাছে ৩০ টাকা দাবি করলে নাহিদ ১৫ টাকা দিতে চায়। এ নিয়ে মিজানুরের সঙ্গে নাহিদের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (বিএসসি) ক্লাসে ঢুকে লাঠি দিয়ে নাহিদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন নাহিদকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

একাধিক এলাকাবাসি জানান, শিক্ষকের লাঠির আঘাতে নাহিদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়েছে। এছাড়া তার হাতের কুনই ও কয়েকটি অাঙ্গুল গুরুত্বর জখম হয়েছে। বর্তমানে ব্যাথার যন্ত্রণায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছে সে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাহিদ বলেন, অ্যাসাইনমেন্টের টাকা কম দিতে চাওয়াই তার অপরাধ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি হাতে শহিদুল স্যার বেদম পেটাতে থাকে। পরে সহপাঠিরা তাকে রক্ষা করে।

অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (বিএসসি) ও মিজানুর রহমান জানান, অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ খারাপ আচরণ করায় তাকে বেত দিয়ে একটি আঘাত করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাহিদের বাবা ফিরোজ মিয়া লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা।

২৭ নভেম্বর, ২০২০ at ১৩:৪৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসকেবি/এমএআর