মুজিববর্ষের চারা নিয়ে নয়ছয়, সংবাদ প্রকাশের পর আবার বিতরণ

নওগাঁর আত্রাইয়ে মুজিববর্ষের চারা নার্সারিতে রেখে কাগজে কলমে বিতরণ। এ বিষয়ে গত ৭ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর আবারো চারাগুলো বিতরণ শুরু করেছেন আত্রাই উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক।
বন বিভাগের নার্সারিতে গিয়ে দেখাযায় হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান লোক মারফত ১ হাজার ৫ শত ফলজ এবং বনজ চারা ভ্যানে পাঠাচ্ছেন। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় স্বাভাবিক নিয়মে চারা তৈরির পাশাপাশি মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ২০ হাজার ৩ শত ২৫ টি ফলজ এবং বনজ চারা তৈরি করেন বন বিভাগ। তার ধারাবাহিকতায় এ উপজেলায় নিজস্ব নার্সারিতে চারা তৈরি করা হয়। চারাগুলো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান, শ্মশান, রাস্তাসহ বিভিন্ন ব্যাক্তি ও স্থাপনার নামে রেজিস্টারে বিতরণ দেখানো হয়েছিল।
যদিও চারাগুলো বন বিভাগের নার্সারিতে রয়েছে যা আদৌ সরবরাহ করা হয়নি। কারণ হিসেবে দু’বার বন্যায় মাঠ-ঘাট এবং রাস্তা ডুবে যাওয়া, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধর কথা বলা হচ্ছে। তবে যাদের নামে বিতরণ দেখানো হয়েছে তারা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ নিতে শুরু করেছেন বলে জানান ফরেস্টার। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাগান সমিতির সদস্য অভিযোগ করে বলেন, চারাগুলো এভাবে বিতরণ দেখিয়ে তাদের তাগাদা না দিয়ে অনেকদিন অতিবাহিত হলে তারা ভুলে যাবে। সেই সুযোগে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ফরেস্টার কমদামে চারাগুলো বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিবেন।
বিশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ: মান্নান মোল্লা বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আমাদের নিকট হতে স্বাক্ষর নিয়েছেন ফরেস্টার। তবে আমি কোনো চারা সরবরাহ নিইনি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে বিতরণের লক্ষ্যে বিশ হাজার তিনশত পঁচিশটি ফলজ এবং বনজ চারা তৈরি করা হয়েছে। চারাগুলো বিতরণ না করে রেজিস্টারে দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে প্রথমে এড়িয়ে যান। তবে একটু পরে বলেন, যাদের বা প্রতিষ্ঠানের নামে বিতরণ দেখানো হয়েছে তিনারা চারা নিয়ে যেতে শুরু করেছেন।
২৪ নভেম্বর, ২০২০ at ২১:৪৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর/আরএইচ