দ্রুত হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করায় ঘোড়াঘাট থানার ওসি পুরুষ্কৃত

ঘোড়াঘাটে পেয়ারা হত্যা ঘটনায় লাশের পরিচয় শনাক্তকরণ ও দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামীকে গ্রেপ্তার করায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিনকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে ওসি তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য দিয়েছেন।

সোমবার দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত মাসিক অপরাধ সভায় ওসি আজিম উদ্দিনের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন বলেন, অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করার কোনো উপায় ছিল না। পরে পুলিশের আরো দুটি ইউনিটের সহযোগিতায় লাশের পরিচয় শনাক্ত করি। পাশাপাশি আমার থানা পুলিশের অন্য সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, আসামি শনাক্ত ও অতি দ্রুত সময়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন।

তিনি জানান,গত ৪ অক্টোবর হিলি-ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক সড়কের সূরা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে জমিতে এক অজ্ঞাত নারীর লাশ দেখতে পেয়েস্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেয় । পরে পুলিশ গিয়ে মুখে ক্ষত অবস্থায় থাকা ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। পরে সিআইডি ও পিবিআই এর সহায়তায় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অজ্ঞাত লাশের নাম পিয়ারা বেগম (৩৫) বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। পিয়ারা বেগম জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার আবাদপুকুর গ্রামের মৃত মিরাজ সিকদারের মেয়ে।

পরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ঘটনায় ৩ দিন পর ৭ অক্টোবর পিয়ারার হত্যাকারী স্বামী আব্দুস সালামকে (২৭) ফুলবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। স্বামী আব্দুস সালাম পর দিন ৮ অক্টোবর হত্যার দায় স্বীকার করে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৪৪ ধারায় জবানবন্দী দেয় । অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্তকরণ ও মামলার রহস্য দ্রুত উদঘাটন এর জন্য অক্টোবর/২০২০ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম,পিপিএম (বার) ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পুরুষ্কৃত করেছেন। পুরুষ্কৃত করায় পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।

১৭ নভেম্বর, ২০২০ at ১৭:০৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমইউ/এমএআর