স্পেসএক্সের নতুন অভিযানে ‘মহাকাশে নতুন যুগের সূচনা’

চার নভোচারী নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এর উদ্দেশে রবিবার স্পেসএক্সের একটি রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। একে মহাকাশ অভিযানে নতুন যুগের সূচনা বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা।

এটি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের অর্থায়নে গড়ে ওঠা প্রাইভেট কোম্পানি স্পেসএক্সের মনুষ্যবাহী দ্বিতীয় ফ্লাইট, যা এখন থেকে নাসার নভোচারীদের মহাকাশে প্রেরণ করবে।

রাশিয়ার সুয়োজ রকেটের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরতার নয় বছর পর এটি চালু হলো।

নাসা বলছে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় লো-আর্থ অরবিটে নভোচারীদের রুটিন যাত্রায় নতুন যুগের সূচনা হলো।

এ অভিযানে অংশ নেওয়া চার নভোচারীর তিনজন আমেরিকান ও একজন জাপানের।

জাপানিজ স্পেস এজেন্সি (জাক্সা)-র সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে জাপানি নভোচারী সোইচি নোগুচির। নতুন এ অভিযানের মাধ্যমে তিনি বিরল রেকর্ড গড়লেন। পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে ভ্রমণে তিনটি ভিন্ন ধরনের মহাকাশযান ব্যবহার করলেন তিনি। এর আগে সুয়োজ ও শাটলযানে ভ্রমণ করেন নোগুচি।

চার নভোচারীকে নিয়ে ফ্যালকন রকেট ও ড্রাগন ক্যাপসুল কেনেডি স্পেস সেন্টার ত্যাগ করে রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটে। মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগবে একদিনেরও বেশি। চার নভোচারী সেখানে আগে থাকা এক মার্কিন ও দুই রাশিয়ান নভোচারীর সঙ্গে যোগ দেবেন।

নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় ৩০০ কোটি ডলারের উচ্চাভিলাষী চুক্তি রয়েছে স্পেসএক্সের। এর আওতায় নভোচারীদের জন্য ট্যাক্সি সেবার উন্নয়ন, পরীক্ষা ও উড্ডয়নের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি।

১৬ নভেম্বর, ২০২০ at ১৩:০১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেরু/এমএআর