ভাস্কর্যকে মূর্তি বলা জ্ঞানের স্বল্পতা : ওলামা লীগ

ভাস্কর্যকে মূর্তি বলা জ্ঞানের স্বল্পতা ও দৃষ্টি ভঙ্গির সমস্যা বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। বিবৃতিতে ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, ভাস্কর্য হচ্ছে একটি শিল্প যা নগরের সৌন্দর্য বর্ধন করে। আর মূর্তি বানানো হয় ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে উপাসনা করার জন্য। ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়। যারা ভাস্কর্যকে মূর্তি বলে তাদের জ্ঞানের স্বল্পতা ও দৃষ্টি ভঙ্গির মধ্যে সমস্যা রয়েছে। তবে অশ্লীলতার প্রতিচ্ছবি যদি কোন ভাস্কর্যে প্রকাশ পায় তা নিঃসন্দেহে ধর্ম ও সভ্যতাবিরোধী বলে বিবেচিত হওয়া সমীচীন।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

ওলামা লীগের সদস্য সচিব মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, ভাস্কর্যে বিরোধীতা ধর্মীয় কোনো স্বার্থে নয়, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য একটি মহল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে। এছাড়াও তৌহিদি জনতাকে ইসলাম ধর্মের কথা বলে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে সুরসুরি দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের অপরাজনীতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে এ চক্রটি।

ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী আরও বলেন, ওলামা লীগেও রাজাকার শাবক, পাকিস্তান প্রেমি, উগ্র-মনোভাবপূর্ণ সাম্প্রদায়িক কোনো ব্যক্তির জায়গা হবে না ওলামা লীগে। ওলামা লীগ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী আলেম- ওলামা, পীর-মাশায়েখদের নিয়ে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মানে না, দেশের সংবিধান মানে না, আইন মানে না। তারা আপাদমস্তক পাকিস্তানী চেতনা লালন করে। মূর্তি প্রত্যক্ষভাবে নিয়মিত বা অনিয়মিত, যেভাবে হোক না, কেনো বিশেষ গোষ্ঠী পূজা, প্রার্থনা, যজ্ঞ, আরাধনা প্রভৃতি কাজে ব্যবহার কেের পক্ষান্তরে ভাস্কর্য নান্দনিক সাংস্কৃতিক, আদর্শিক শৈলী, মূল্যবোধ পরিস্ফুটনে ব্যবহৃত হয়। ইসলাম মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে নয়।

যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, মুখপাত্র ক্বারী মাওলানা আসাদুজ্জামান, যুগ্ম আহবায়ক হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, মুফতী আব্দুল আলিম বিজয়নগরী, পীরে তরীকত সূফী মাঞ্জুর আহমেদ, পীরে তরীকত মুফতীয়ে আজম নজরুল ইসলাম রেজভী, মাওলানা জাকারিয়া আল কাদেরী, সুফী আব্দুল করিম ও মুফতী তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।

১৪ নভেম্বর, ২০২০ at ১৫:৪৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর/এমএআর