কালীগঞ্জে গর্ভবতী গৃহবধূ ধর্ষণ: প্রধান আসামি পিয়াস আটক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে (১৯) চারদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি পিয়াস নামে এক বাসের সুপারভাইজারকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালছে। গত মাসের ১০ অক্টোবর প্রধান ওই গৃহবধূকে যশোরের নওয়াপাড়ার একটি বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে ওই গুহবধুকে ধর্ষণ করে। এরপর ২৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৪ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করে। আদালতে মামলার পর কালীগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা রেকর্ড করতে আদেশ দেন।

মামলার বিবরণ ও আসামী পক্ষের আইনজীবি আকিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষিত গৃহবধূর স্বামী চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর সড়কে চলাচলকারী শাপলা পরিবহনের হেলপার। তার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে। আর গৃহবধূর বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামে। দু’বছর আগে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে ওই গুহবধূ পাঁচ মাসের গর্ভবতী। চলতি মাসের ১০ তারিখে তার স্বামী ফোনে জানায় দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে দাড়ালে তাকে মথুরাপুর শশুরালয়ে নামিয়ে দেবে। স্বামীর কথা অনুযায়ী ঘটনার দিন দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে আসে। সে সময় সেখানে দাড়িয়ে থাকা বাবা’র বাড়ির পাশ^বর্তি তেতুলবাড়িয়া গ্রামের তিন যুবক মথুরাপুর পৌছে দেবে বলে ওই সড়কে চলাচলকারী গড়াই পরিবহনে তুলে যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।

এরপর পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুল চার দিক আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরমধ্যে প্রধান আসামি পিয়াস শাপলা পরিবহনের সুপারভাইজার। পরে মেয়েটিকে তারা ছেড়ে দিলে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। তখন নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে মামলা না দিতে চাপ দিতে থাকে। পরে ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মকলেচুজ্জামান জানান, মামলার প্রধান আসামি পিয়াসকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।