টিটিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ

রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির দুটি কোয়ার্টার ভাল থাকলেও অনুপযোগী দেখিয়ে পছন্দের প্রায় ১০জন লোককে ৫% ভাড়ায় সুবিধা দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সরকার। তবে তা সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির (গ এবং ঘ বিল্ডিং) ভবনসমূহ দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে। মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হচ্ছে- ১০ বছর ধরে এসব ভবন (কোয়ার্টার) বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে।

তবে কর্তৃপক্ষের লিখিত এক পত্রে পাঁচ বছর ধরে এসব ভবন (কোয়ার্টার) বসবাসের অনুপযোগী হয়ে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষাকালে দুটি ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ছাদ বেয়ে পানি পড়ে। দরজা-জানালা ভেঙ্গে গেছে, সিমেণ্ট প্লাস্টার খসে পড়ছে।

প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র বলছে, অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে ও অবহেলা করে ভবনগুলো সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির একটি সি-িকেট অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সেগুলো প্রায় অকার্যকর ও বসবাস অনুপযোগী করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম ইমদাদুল হক বলেন, এসব কাজের জন্য আমাদের বাজেট কালেকশনের কোনো প্রয়োজন নেই। উল্লেখিত ভবনসমূহ (কোয়ার্টার) মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সার্বিক দায়িত্ব পুরোপুরি গণপূর্ণ বিভাগের।

এ নিয়ে বেতন বহি ও কোয়াটারের ভাড়া আদায়ের রেজিস্টার দেখানোসহ সকল প্রকার তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগীতা করার জন্য টিটিসির সিনিয়র প্রশিক্ষক মোঃ আইয়ুবুল আজাদকে দায়িত্ব দের অধ্যাক্ষ। কিন্ত তিনি বিকাল গত (২ও ৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করে সময় কাটালেও সাংবাদিকদের বেতন বহি ও কোয়াটারের ভাড়া আদায়ের রেজিস্টার দেখাননি।

এদিকে, কোয়াটারে একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাদের ৫% ভাড়ায় রাখা হয়েছে যাদের তাদের কাছ সুবিধা নিয়ে থাকেন অধ্যক্ষের কাছের লোক লুৎফর রহমান। আর একই রকম ভবনে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে ১০০% ভাড়া আদায় করা হয়। তবে অধ্যক্ষ বিষটি তিনি এড়িয়ে যান।

অভিযোগ রয়েছে-বাসা ভাড়া কর্তনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে। অধ্যক্ষের কাছের লোক লুৎফর রহমানের পছন্দের শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পান। বর্তমানে প্রায় ১০জন ৫% ভাড়া দিয়ে কোয়াটারে বসবাস করছেন। আর অন্যন্যদের কাছ থেকে ভাড়া কর্তন করা হয় ১০০%। এ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

০৯ নভেম্বর, ২০২০ at ১৯:২৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআরআর/এমএআর