‘প্রয়োজনে ভবদহ অঞ্চলের মানুষ সব ধরনের ভোট বর্জন করবে’

দ্রুত যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে সব ধরনের ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শত শত বানভাসী মানুষের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

বলা হয়, বছরের পর বছর এই অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করছেন। কিন্তু সরকার এই সমস্যা সমাধানের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও বাস্তবে তা কোন কাজে আসছে না। মূলত দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করতে এই সমস্যা জিয়ে রেখেছেন এক শ্রেণির রাজনীতিবীদরা। তাই সমস্যা সমাধান না হলে এই রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা ভোট বর্জন করবেন।

ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে একই দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

এই কর্মসূচি থেকে ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত টিআরএম চালু, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার, হরি, শ্রী, টেকা ও মুক্তেশ্বরী নদীর সাথে ভৈরবের সংযোগ, ২১ ও ৯ ভেন্টের মাঝ দিয়ে সরাসরি নদী সংযোগের দাবি জানানো হয়। এছাড়া এই অঞ্চলের সব নদী ও খালে থাকা পাটা-বাঁধ অপসারণের দাবি জানানো হয়।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি শেষে যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা বানবাসীদের সমস্যার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেয়ার আশ^াস দেন।

এর আগে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা বলেন, গত তিন মাস ধরে তাদের অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সমস্যা চলছে। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের। পানি উঠে এসেছে ঘর-বাড়িতে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ওই এলাকার কয়েখ লাখ মানুষ।

সমাবেশে আরো বলা হয়, এই অবস্থা চলতে থাকলে এই অঞ্চলের মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে করোনাকে উপেক্ষা করেই তাদের পথে থাকতে হবে। আর প্রয়োজন হলে তারা আগামীতে সব ধরনের ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবেন।

আয়োজক সংগঠনটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, সদস্যসচিব অধ্যাপক চৈতন্য পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, শেখর চন্দ্র বিশ্বাস, ইলিয়াস হোসেন, সুকৃতি রায়, শিরিন সুলতানা সোহেলী, কার্তিক বকশী প্রমুখ।

০১ নভেম্বর, ২০২০ at ২২:৪০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিএইচ/এমএআর