নাটোরে বেকারীর ভেতর ‘নকল’ মবিল কারখানা!

নাটোর শহরের উপশহর এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত বেকারির আড়ালে নকল মবিল তৈরী ও বাজারজাত করে আসছিলেন জহুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয় বনপাড়ার এজি অয়েল সাপ্লাইয়ার এন্ড লুবরিকেন্ট থেকে মবিল তৈরীর উপকরণ সংগ্রহ করতেন তিনি।

বৃহষ্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের অভিযানে এই নকল কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযানে সহায়তা করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। এই অপরাধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ব্যবসায়ী জহুরুলের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে।

জহুরুলের স্ত্রী রোজিনা বেগম জানান, কারখানা ভবনের মালিক আমিনুল হক। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। জানা যায়, প্রায় বছর খানেক আগে লোকসানের কারণে জহুরুল বেকারি ব্যবসা বন্ধ করে দেন। কিন্ত করোনার শুরুতে পরিত্যক্ত ওই বেকারির ভেতরের একটি কক্ষে বড় একটি কড়াইয়ে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণে নকল মবিল তৈরী করতেন।

অভিযানকালে মবিল তৈরীর কড়াই, রং, বিভিন্ন রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থসহ নানা রকম সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সবশেষ কারখানাটি সিলগালা করা হয়। এ সময় জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন ভবন মালিক আমিনুল হকের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর। পরিশোধকালে তিনি দাবী করেন, কারখানার ভেতরে নকল মবিল তৈরীর বিষয়টি তারা জানতেন না। শুধু বেকারির জন্যই ভাড়া দেয়া হয়েছিল ভবনের দুইটি ঘর।

এদিকে, আবাসিক এলাকায় মবিল কারখানার শব্দে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে পড়তেন পাশ্ববর্তী এলাকাবাসী। পাশাপাশি দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিও ছিলো। অভিযানের পর তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান বলেন, আবাসিক এলাকায় এই ধরনের কারখানা বিপজ্জনক। বড় দুর্ঘটনা বা অগ্নিকান্ড হলে প্রাণহানির ঝুঁকি ছিলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

২৯ অক্টোবার, ২০২০ at ১৬:২৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এআরটি/এমএএস