ঘোড়াঘাটে ৫ বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়ন থানায় মামলা লম্পট ফুফাকে খঁজছে পুলিশ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আপন ফুফার দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৫ বছরের এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ অক্টোবর শুক্রবার রাতে ঘোড়াঘাট পৌরসভার পশ্চিম নয়াপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। লম্পট ফুফা ঘটনার পর পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট পৌরসভার পশ্চিম নয়াপাড়া গ্রামের হাসেন মিয়া মাদকাসক্ত হওয়ায় তার শিশু কন্যা সন্তান মাধবী লতা মিমকে (০৬) তার দাদা-দাদি লালন পালন করে। মা সাধনা বেগম ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ২৩ অক্টোবর শুক্রবার রাতে শিশুটির ফুফা আতোয়ার হোসেন (৩৫) তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে শিশু কন্যা মিম তার ফুফার সাথে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে লম্পট ফুফা আতোয়ার তার যৌন লালসা মেটাতে শিশু মিমকে বিবস্ত্র করে বিভিন্ন ভাবে যৌন নিপীড়ন করে। শিশুটি রাতেই কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে দাদা দাদির ঘরে গিয়ে তার দাদা-দাদিকে ঘটনা জানায় ও সকালে তার মা সাধনা বেগমকে ফোন করে ঘঠনা জানায়। মা সাধনা বেগম বাদী হয়ে ফুফা আতোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি যৌন নিপিড়নের মামলা রজু করেন। লম্পট আতোয়ার গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভেলামারী কৌচা গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুস সোবাহান জানান, নিপিড়ত শিশু মিম ও তার পরিবারের কাছে আমরা পুরো ঘটনা শুনেছি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আরোও জানা গেছে যে, অভিযুক্ত আতোয়ার জ্বিনের বাদশা চক্রের অন্যতম সদস্য। তার নামে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলাও রয়েছে। ঘটনা ঘটানোর পরপরেই সে পালিয়ে গিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলা করেছে (মামলা নং-১৬)। আমরা ঘটনাটিতে প্রাথমিক তদন্ত করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

২৮ অক্টোবার, ২০২০ at ১৭:১২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএএম/এমএএস